জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। আর তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
Advertisement
বুধবার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ও উপাধ্যাক্ষ প্রফেসর মুক্তিরানী সাহা বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনে আরা শেফালী।
Advertisement
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আত্মস্থ করতে হবে। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
আইয়ুবশাহী, ইয়াহিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শোষণহীন ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল ও আপসহীন। ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করেও তাকে অবদমিত করা যায়নি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথা নত করেননি। এর মাঝে ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিবাদী সত্তা। তাইতো তিনি বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমি বলব- আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’
তিনি আরও বলেন, কোনো প্রলোভন বা মোহ-ই বঙ্গবন্ধুকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। জনতার মুক্তির প্রশ্নে যখন যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তখন তাই করেছেন। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ ও নির্মোহ সত্তার প্রতিফলন দেখা যায়। আজও বাংলার প্রতিটি প্রান্তে প্রতিধ্বনিত হয় সেই বজ্রকণ্ঠ ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই’।
স্পিকার বলেন, দ্রুতই বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্থান করে নেবে উন্নত দেশের মানচিত্রে। প্রতিষ্ঠিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত শোষনহীন সোনার বাংলা- যা ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের আত্মত্যাগের মূল লক্ষ্য।
Advertisement
এইচএস/এএইচ/জেআই্এম