কম সময়ে ঘুরতে চাইলে ঢাকার কাছাকাছি অনেক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মোহাম্মদী গার্ডেন অন্যতম। ঢাকার কাছে এত সুন্দর একটি বিনোদন কেন্দ্র আছে, যা না দেখলে কখনোই বোঝা যাবে না। তাই সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন যেকোন ছুটির দিনে।
Advertisement
অবস্থানঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাইয়ের মহিষাশী এলাকায় গার্ডেনটি অবস্থিত। প্রথমে এর জমির পরিমাণ কম থাকলেও এখন পার্কটি প্রায় ২০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠাতাবিশাল পরিসরে এই গার্ডেন শুধু বিনোদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন শিল্পপতি এস কে আবদুস সালাম। নাম দিয়েছেন মহিষাশী মোহাম্মদী গার্ডেন। পাঁচ বছর আগে গার্ডেন ও পার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরও পড়ুন- হানিমুনে কোথায় যাবেন
Advertisement
যা দেখবেনবিনোদনের জন্য গার্ডেনের ভেতরে রয়েছে পুকুর। পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছে নৌকা, কাঠের রাজহাঁস, মাটির শাপলা। পানির ওপরে দোল খাচ্ছে তিনতলা বাড়ি। আর দেয়ালের মাঝখানে এ পার্ক। প্রাকৃতিক লাল শাপলা ফুল ও মনোমুগ্ধকর সেতু তো আছেই। পুকুরের কিনারাজুড়ে রয়েছে ফুলের বাগান ও নানা প্রজাতির ফল-ফলাদির গাছ। উপভোগের জন্য রয়েছে আনন্দ নিকেতন, আনন্দ ভুবন, বড় বড় গাছের নিচে বসার চেয়ার-টেবিল। শিশুদের জন্য রয়েছে ট্রেন, স্লিপার, নাগরদোলা, সুইমিংপুল, দোলনা ইত্যাদি। এছাড়াও দেখার মতো আছে মিনি চিড়িয়াখানা। সেখানে রয়েছে হরিণ, খরগোস, কবুতর, বানর, বিদেশি কুকুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি।
নিরাপত্তাদর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পার্কের চতুর্দিকে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পিকনিক ও দর্শনার্থীদের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া এলাকার লোকজনও সহযোগিতা করেন।
প্রবেশমূল্যএখানে প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। ছোটদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- জেনে নিন কেন ভ্রমণ করবেন
Advertisement
বুকিংবিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পিকনিক করার জন্য অনেক আগে থেকেই বুকিং করে রাখা হয়। পিকনিকের জন্য ৪টি স্পট ভাড়া দেওয়া হয়।
সেবাসমূহএখানে রয়েছে টয়লেট, বাথরুম এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আরামের জন্য এসি এবং নন এসি রুম, ইলেক্ট্রিসিটি ও জেনারেটরের ব্যবস্থাও রয়েছে।
যেভাবে যাবেনঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জ-আরিচাগামী যেকোন যাত্রীবাহী বাসে উঠে ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে। এরপর সংযোগ সড়ক ধরে সাটুরিয়া-বালিয়ার বাসে উঠে মহিষাশী বাজার। বাজার থেকে উত্তর দিকে ২ মিনিট হেঁটে গেলেই মোহাম্মদী গার্ডেন। অথবা গাবতলী থেকে সরাসরি সাটুরিয়া-বালিয়ার বাসে উঠে মহিষাশী বাজারেও নামা যায়। ঢাকা থেকে আসতে সময় লাগে মাত্র দেড় ঘণ্টা।
এসইউ/পিআর