কোনো কারণ ছাড়াই এক ব্যবসায়ীর গাড়ি জব্দ করায় রাজধানীর ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেই জব্দ করা গাড়িসহ ওসিকে হাজির হতে বলেছেন আদালত। আটকের এক মাস পরেও ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি ফেরত না দেয়ায় তাকে তলব করলেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একই সঙ্গে, গাড়ি আটক করা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভাটারা থানার ওসিসহ পাঁচজনকে রুলের জবা দিতে বলা হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ীর করা এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদন শুনানি করে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান ও মো. জাকারিয়া লিটন।
ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন জানান, রাজধানীর কুড়িলের ব্যবসায়ী মো. মোমিন উদ্দিন গত ১৩ জুলাই ভাটারা থানাধীন একটি শপিংমলের সামনে গাড়ি রেখে (টয়েটা এলিয়ন-১৫০০সিসি, ঢাকা মেট্রো গ-২৭-৮৯৫৫) শপিং করতে যান। পরে নিচে এসে দেখেন গাড়িটি নেই। খবর নিয়ে জানতে পারেন ভাটারা থানার এসআই মো.শহীদুল ইসলাম থানায় নিয়ে গেছেন। পরে গাড়ির মালিকানা এবং বিআরটিএর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের পরও গাড়ি ফেরত দেয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট থানা থেকে।
এমনকি ৭ আগস্ট গাড়ি ফেরত পেতে ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বরাবরে লিখিত আবেদন দিলেও তা গ্রহণ করেননি তিনি।
বেলায়েত হোসেন জানান, ট্রাফিক আইন অমান্য করলে গাড়ির মালিককে জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও গাড়ি জব্দ করার কোনো বিধান নেই।
Advertisement
তাই গাড়ির মালিক ওই ব্যবসায়ী গাড়ি ফেরত পেতে এবং আইনি প্রতিকারের জন্য গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। ওই রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভাটারা থানার ওসিসহ পাঁচজন।
এফএইচ/এআরএস/জেডএ/আরআইপি/জেআই্এম