ছয় মাসের জন্য মুসলমানদের মৌখিক তিন তালাক স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তিন তালাকের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যেসব নারীরা পিটিশন দায়ের করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন সায়েরা বানু। তিনি আদালতের এই রায়ের পর বলেছেন, ভারতের মুসলিম নারীদের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
Advertisement
প্রধান বিচারপতি জেএস খেহারের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ এক পিটিশনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।
ওই রায় সম্পর্কে সায়েরা বানু বলেছেন, আমি এই রায়কে স্বাগত জানাই এবং সমর্থন করি। এটা মুসলিম নারীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।
বিচারপতি কুরিয়েন জানিয়েছেন, ইসলামি আইনে তিন তালাক গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। এই আইন ২৫ ধারাকে সুরক্ষিত করতে পারেনি। তাই এটা বাদ দেয়াই শ্রেয়।
Advertisement
জয়পুরের ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের আহ্বায়ক নাসিম আক্তার বলেছেন, এটা একটা সুন্দর এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ রায়। এখন আমরা আশা করতে পারি যে সরকার অতি শিগগিরই তিন তালাকের বিরুদ্ধে একটি আইন তৈরি করবে।
তিন তালাকের শিকার জয়পুরের আফরিন রেহমান বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে আমি খুব খুশি। দেশ থেকে তিন তালাক বাতিলের সূচনা এটি। আমরা তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন চাই। আর আদালত সরকারকে সেদিকেই পরিচালনা করছে।
তিনি আরো বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত আদালত তিন তালাক স্থগিত রাখবে। তিন তালাকের নামে নারীদের সঙ্গে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে, যেভাবে তাদেরকে পায়ের জুতার মতো ঘর থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে সেটা এখন বন্ধ হবে।
অল ইন্ডিয়া ওমেন পারসোনাল ল’ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সেইস্তা আম্বার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
Advertisement
আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভারতের কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তিন তালাক দিতে পারবেন না। সরকার এই ছয় মাসের মধ্যেই তিন তালাকের বিরুদ্ধে কোনো আইন আনবেন এটাই আশা করছেন মুসলিম নারীরা।
টিটিএন/আরআইপি