২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এছাড়া বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে ‘অবাস্তব’ বলেও মনে করছে সিডিপি।শুক্রবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়লেও স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা শোচনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলা হয়, বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, এর একটা বড় অংশ অর্জিত হবে না। আর এমনটা ঘটলে বাজেটের লক্ষ্য ঠিকমতো পূরণ হবে না।ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে অর্জনের পার্থক্য বেড়েছে। সরকারের সম্প্রসারণমূলক ব্যয় কাঠামো বাড়লেও তার পর্যাপ্ত অর্থায়নের জন্য রাজস্ব উদ্বৃত্ত বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে না। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পাওয়া ঋণ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসলে সম্প্রসারণশীল মডেলকে টেকসই রাখা কঠিন হবে।বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত `প্রবৃদ্ধির সোপানে আরোহণের` যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন কঠিন বলে মনে করে সিপিডি। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলে সোপানের পথ পিচ্ছিল হয়ে উঠবে। তাই সোপানের পথটি মসৃণ করতে হবে বলে তারা মত দেন। বাজেটের বিভিন্ন খাতে পাঁচটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সিপিডি।জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় বাজেটের পরদিনই সিপিডি শুক্রবার তাদের পর্যালোচনা জানালো সিডিপি। এবার বাজেটের আকার দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ৬ শতাংশের বৃত্তে বন্দি আছে জিডিপি। বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। এবার প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা ৭ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যও উচ্চাভিলাষী। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ, নতুন বছরে বেশি দিতে হবে ৪৫ হাজার ৭২ কোটি টাকার কর। এই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে সিপিডি।সিপিডির মতে, এবারের বাজেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ভালো দিক হলো শিশু বাজেট। আর সবচেয়ে অনুজ্জ্বল হলো ঘোষণা ছাড়া জেলা বাজেট বাদ দেওয়া।আরএস/পিআর
Advertisement