দক্ষিণ কোরিয়ায় মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম (মার্স) ভাইরাসে চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক চিকিৎসকের মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সিউল নগরীর মেয়র পার্ক ওন-সুন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সিউল মার্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। আমরা আমাদের নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’বৃহস্পতিবার রাতে এ ভাইরাসে নতুন করে আরো পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১ জনে। সৌদি আরবের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্স ভাইরাস সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা প্রায় দুই হাজার লোককে আলাদা করে বা বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।মার্স ভাইরাসে সর্বশেষ মঙ্গলবার ৭৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ মে তার শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। অপরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবশেষে যে হাসপাতালে প্রথম মার্স রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় তার নাম প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় সিউলের ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পিয়ংতায়েকের এই হাসপাতালে যারা ১৫ থেকে ২৯ মে’র মধ্যে গিয়েছেন তদেরকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সরকার প্রথমদিকে মার্স রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এমন কোন হাসপাতালের নাম প্রকাশ করেনি এ যুক্তিতে যে, এতে হাসপাতালের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।অন্যদিকে সিউলের একটি বড় হাসপাতালের চিকিৎসক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং এসব বৈঠকে প্রায় দেড় হাজার লোক অংশ নিয়েছেন।মার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে কিন্ডারগার্টেন থেকে কলেজ লেভেল পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।সারা বিশ্বে এক হাজার ১৬১ জন মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪৩৬ জন। ২০টির বেশি দেশে মার্স ভাইরাস ছড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সৌদি আরবে। এ ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা বা টিকা নেই। বিএ/এমএস
Advertisement