অর্থনীতি

পদ্মা লাইফের চেয়ারম্যান ও সিইওর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

মৃত্যুদাবি পরিশোধ না করায় পদ্মা ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)-সহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করেছেন আদালত।

Advertisement

গত ৮ আগস্ট আদালত এ আদেশ দেন। মামলার বাদী সূত্রে সোমবার এ তথ্য জানা গেছে।

গোষ্ঠী বীমার আওতায় শ্রমিকের মৃত্যুদাবি পরিশোধ না করায় বীমা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪১৮/৪২০ ধারায় মামলা করে বীমা গ্রাহক বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

সিআর ৭৯০/১৭ নম্বর মামলায় আসামি করা হয় বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন, দাবি বিভাগের জিএম লিয়াকত আলী ও এজিএম নূরুল আলমকে।

Advertisement

বিকেএমইএ’র আরজি শুনে চারজনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ‘ক’ অঞ্চল আমলি আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান।

মামলার বাদী বিকেএমইএ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি (ফায়ার অ্যান্ড আর্বিট্রেশন) মোহাম্মদ মানিক মিয়া জানান, বিকেএমইএ সরকারি নীতিমালা অনুসারে সদস্যভুক্ত কারখানার শ্রমিকদের বীমা সুবিধা প্রদানের জন্য পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. এর সঙ্গে গোষ্ঠীবীমা চুক্তি করে। ওই গোষ্ঠীবীমা চুক্তি ও পলিসির মেয়াদ কার্যকর থাকা অবস্থায় বিকেএমইএ’র সদস্য কারখানার শ্রমিকের মৃত্যুর পর চুক্তি অনুযায়ী বিকেএমইএ যথাযথ কাগজপত্রসহ মৃত্যুদাবি উত্থাপন করা হয়।

মৃত্যুদাবি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোম্পানিটির চাহিদা মতো দাখিল করা হয়। বীমা কোম্পানির বিভিন্ন প্রশ্নের যথাযথ জবাব, দালিলিক ও আইনি ব্যাখ্যা দেয়া হয়। কিন্তু ন্যায্য ও আইনসঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ১৫৫টি মৃত্যুদাবি পরিশোধ করেনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি.।

মৃত্যুদাবির কাগজপত্র দাখিল করা হলে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. বিভিন্ন অবান্তর, অযৌক্তিক ও বেআইনি প্রশ্ন তুলে ধরে যা গ্রুপ বীমার চুক্তি বা নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে একেবারেই অযৌক্তিক এবং কোনো রকমের গুরুত্ব বা প্রভাব রাখে না। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো নাকচ করার কোনো আইনসম্মত কারণ না পেয়ে ভিত্তিহীন, মনগড়া, অযৌক্তিক, অসত্য ও আইনের পরিপন্থী বিষয় উল্লেখ করে দাবিগুলো নাকচ করে দাবির টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। অথচ মৃত শ্রমিকের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিকভাবে সুবিধা দিতেই গ্রুপবীমার এ চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. এর টাকা আত্মসাৎ করার হীন প্রচেষ্টায় বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে আজও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোনো টাকা পায়নি। এতে স্পষ্ট হয় যে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. বীমা দাবি পরিশোধ করবে না। কাজেই ন্যায্য ও আইনসঙ্গত বীমা দাবি পেতে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

Advertisement

আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলেও জানান মামলার বাদী।

এমএএস/এমএআর/আরআইপি