সোমবার বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে ইউনাইটেড হসপিটালের ইমার্জেন্সি বিভাগে শোরগোল পড়ে যায়। নায়করাজ রাজ্জাকের পরিবারের লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় সেখানে নিয়ে আসেন।
Advertisement
নায়করাজের নাড়ি (পালস) ও রক্তচাপ (ব্লাডপেসার) বোঝা যাচ্ছিল না। এটিকে কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি বিবেচনা করে সঙ্গে সঙ্গে কোড ব্লু (চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষা) ঘোষণা করা হয়।
সেই অনুযায়ী কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন দিয়ে রাজ্জাকের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা এবং জ্ঞান ফিরিয়ে আনার জন্য ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট ধরে চেষ্টা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
ইউনাইটেড হসপিটালের চিফ কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মোমেনুজ্জামান এ সময় ইমার্জেন্সি বিভাগে নায়করাজের পাশেই ছিলেন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তিনি।
Advertisement
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ইউনাইটেড হসপিটালের বার্তা বিভাগের প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নায়করাজ রাজ্জাক গত কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড হসপিটালের চিফ কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মোমেনুজ্জামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হৃদরোগ ছাড়াও তিনি ক্রনিক অবস্ট্রাকটিব পালমোনারি ডিজিস, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।
এর আগেও তিনি ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তি ছিলেন এবং আইসিইউতে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের সহায়তায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইউনাইটেড হসপিটাল কর্তৃপক্ষও নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
Advertisement
কেএ/এমএআর/এমএস/আরআইপি