সৌদি আরবের বিমানের ফ্লাইট অবতরণ করার অনুমতি দিচ্ছে না কাতার। সৌদির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে দোহা। সোমবার কাতারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মক্কার উদ্দেশ্যে মুসলিম হজযাত্রীদের বহনকারী সৌদি অ্যারাবিয়ান বিমানের ফ্লাইটগুলোকে অবতরণ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে কাতারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।
Advertisement
এর আগে রোববার সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের বহনকারী সৌদি অ্যারাবিয়ান বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দেয়নি কাতার কর্তৃপক্ষ।
অল্প কিছু বিমানের ফ্লাইটে কাতারিদের সৌদিতে অবতরণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে কাতারের হজযাত্রীদের জন্য অস্থায়ীভাবে মক্কা নগরীতে সৌদি তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। দু’মাসের বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক সংকটের জের ধরে কাতারের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল সৌদি। এমনকি কাতারের নাগরিকদের সৌদিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।
সোমবার কাতার সিভিল এভিয়েশনের একটি সূত্র সৌদির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। কাতারের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, কাতারে বিমান অবতরণের অনুমতি চেয়ে সৌদি যে অনুরোধ জানিয়েছে তা গ্রহণ করেছেন তারা।
Advertisement
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ। একজন মুসলিমকে জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হবে।অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় পৌঁছেছেন। এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যান্য দেশের মতো কাতার থেকেও বহু হজযাত্রী হজ পালন করতে সৌদি যান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব এবং কাতারের মধ্যকার কূটনৈতিক সংকটের জের ধরে কাতারিদের হজ পালনের বিষয়টি কিছুটা অনির্দিষ্ট হয়ে পড়েছিল। কিন্তু অন্যান্য দেশের মতোই কাতারের হজযাত্রীদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে সৌদি আরবের তরফ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।
গত মাসে সৌদি আরবের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও হজের উদ্দেশ্যে সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে কাতারের হজযাত্রীরা। তবে কাতারিদের ওপর বেশ কিছু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। শুধুমাত্র একটি এয়ারলাইন্সকে সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে রিয়াদ।
সন্ত্রাসীদের সমর্থন এবং অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগ এনে জুনের ৫ তারিখে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
Advertisement
টিটিএন/এমএস