কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় আটক জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মী আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দী শেষে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেয়।জানা যায়, বুধবার রাতে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ-র্যাব-বিজিবি`র সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী চান্দিনাসহ জেলার বিভিন্নস্থানে চিরুনি অভিযান চালিয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল বাশারসহ জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করে। আটকদের মধ্যে চান্দিনার বাগুর বাসস্টেশন এলাকার বাসিন্দা নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার উত্তর শোলাদিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আবদুর রাজ্জাক হামলার দায় আদলতে স্বীকার করেন।জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারণ গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শিবিরকর্মী রাজ্জাক ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ জানান, আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরো ৭/৮ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। পত্রিকায় জামায়াত নিষিদ্ধের সংবাদ দেখে রাজ্জাক ও তার সহযোগীরা ওই রাতে ২/৩টি ভাগে বিভক্ত হয়ে এ পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটায়। শিবিরকর্মী আবদুর রাজ্জাক চান্দিনার বাগুর এলাকায় বসবাস করে এবং একটি ডিটারজেন্ট পাউডার কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো বলে জানিয়েছে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঠেরপুল এলাকায় ঢাকা থেকে রাঙামাটিগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে সাতজন দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।কামাল উদ্দিন/এআরএ/আরআই
Advertisement