কোন কুক্ষণে যে চোখের মধ্যে এসে ধুলা-বালির কণা পড়লো- যেটা এক বিশাল স্বপ্নকেই ধুলিস্যাৎ করে দিলো। চট্টগ্রামে ক্যাম্প করার আগেই চোখের এই সমস্যায় পড়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। যে কারণে চট্টগ্রাম যেতে পারেননি। ডাক্তার ওই সময় দিয়েছিলেন ৫ দিনের বিশ্রাম। তবুও ঠিক হলো না মোসাদ্দেকের চোখটা। সারাক্ষণ শুধু পানি পড়ে। রোদে যেতে পারেননি। পুরোপুরি ঠিক হতে নাকি আরও ১৫দিন লাগবে। এর অর্থ, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ পুরোটাই মিস মোসাদ্দেকের।
Advertisement
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মত বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না- খারাপ লাগার বিষয় তো আছেই। তবে মোসাদ্দেক হোসেন এখন খেলার চেয়ে চোখ ঠিক করাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি মনে করেন, সুস্থ থাকলে তো আরও অনেক খেলার সুযোগ পাবেন। সুতরাং, খেলার চেয়ে আগে সুস্থ হওয়াটাই এখন তার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আজ বিকেলে যখন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে বাদ দিয়ে মুমিনুলকে দলে নেয়া হলো, এরপরই জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মোসাদ্দেকের সঙ্গে। হতাশার সুরেই বললেন, ‘হ্যাঁ, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলা। সেখানে খেলতে পারবো না, খারাপ তো লাগছেই।’
তবে মোসাদ্দেক জানালেন তিনি খুব বেশি হতাশ নন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব বেশী হতাশ নই। কারণ সত্যি কথা বলতে কি, সমস্যাটা তো আর আমার হাতে নেই। চোখে সমস্যা। খুবই সেনসেটিভ জায়গা। রোদের মধ্যে গেলে পানি পড়ে, আর চোখ বন্ধ হয়ে আসে।’
Advertisement
চোখের বিষয় হওয়ার কারণেই খেলার চেয়ে সুস্থ হওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু চোখের বিষয়, সেনসেটিভ, তাই আমি খেলার চেয়ে চোখটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তার ওপর খেলাটা ৫ দিনের ম্যাচ। পুরোটাই দিনে। রোদের মধ্যে খেলা। সারা দিন রোদে থাকতে হবে। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি হলে অন্য কথা ছিল। রাতে খেলা হতো। সমস্যা কম হতো। টি-টোয়েন্টি হলে হয়ত খেলতে পারতাম।’
এখন শুধু শুধু ঝুঁকি নিতে রাজি নন মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘এখন অযথা ঝুঁকি নিয়ে খেলার চেয়ে আগে সম্পুর্ণ সুস্থ্ হয়ে নিই। সুস্থ্ হয়ে উঠলে অনেক খেলার সুযোগ পাবো।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement