প্রতি ম্যাচে গোল- এমন পারফরম্যান্স এখন আর দেখা যায় না স্থানীয় কোনো স্ট্রাইকারের কাছ থেকে। আশাও করেন না কোচ কিংবা ক্লাব কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা বিদেশিরাই গোল করবেন, ম্যাচ জেতাবেন। তৌহিদুল আলম সবুজ সে ধারণা যেন পাল্টে দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর এ স্ট্রাইকার গোল করে যাচ্ছেন প্রতি ম্যাচে, দলটির জয়ে রাখছেন বড় অবদান।
Advertisement
রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান রানার্সআপরা ২-০ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে ঘরে ফিরেছে টানা পাঁচ জয় নিয়ে। সবগুলো ম্যাচেই গোল আছে সবুজের। ৪৪ মিনিটে সবুজের গোলেই এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৭১ মিনিটে জাহিদের পেনাল্টি গোলে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান।
গত লিগে মোহামেডানের জার্সি গায়ে স্থানীয়দের মধ্যে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এবার তিনি বিদেশিদেরও ছাড়িয়ে যেতে চান। ম্যাচের পর কক্সবাজারের এ যুবক আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললেন এবারের লিগে তার লক্ষ্যের কথা, ‘গত বছর মোহামেডানের হয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলাম। এবার যদি গোল করতে না পারি তাহলে কেমন হয়? তাই শুরু থেকেই মাথায় একটি জিনিস ঢুকিয়েছি- গোল করতে হবে।’
এ ম্যাচে তো দুই গোলও হয়ে যেতো আপনার যদি পেনাল্টিটা নিতেন। পেনাল্টি নিতে পারতেন না? ‘আমি জানতাম জাহিদই পেনাল্টিটা নেবে। ও বল ধরার পর আমি আর আগ্রহ দেখাইনি’- জবাব সবুজের। এ নিয়ে আপনার কোনো খেদ আছে? ‘তা থাকবে কেন? জাহিদ তো আমারই সতীর্থ। তারও তো গোলের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। কোনো ম্যাচে আমি খেলতে না পারলে এই গোল করার আত্মবিশ্বাসটা জাহিদের কাজে লাগবে’- বলেছেন এখন পর্যন্ত গোলদাতাদের শীর্ষে থাকা সবুজ।
Advertisement
প্রতি ম্যাচে গোল করছেন। জাতীয় দলে ফিরতে নিশ্চয়ই আশাবাদী? সবুজ বুঝিয়ে দিলেন তার পারফরম্যান্সই ঠিক করবে জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন কি না ‘জাতীয় দল নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সেটা দেখবেন কোচ। সুযোগ পেলে ভালো। চেষ্টা করবো নিজের যোগ্যতা প্রমাণের’-বলেছেন সবুজ।
টানা পঞ্চম জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রহমতগঞ্জ।
আরআই/আএইচএস/আরআইপি
Advertisement