মতামত

ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করুন

ঈদের আনুষ্ঠানিক ছুটি ঘোষণা না হলেও এরই মধ্যে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করার জন্য ঘরমুখো মানুষ শহর ছাড়ছেন। ফলে রাজধানীর লঞ্চ, বাসসহ রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে- সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Advertisement

প্রতিবছর ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয় বেশ কিছু উদ্যোগ। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ কাজ করছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। যে কোনো মূল্যে মহাসড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখতে হবে। এবার বন্যায় ভাসছে দেশ। ফলে সড়ক মহাসড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে ঈদ যাত্রায়। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

মহাসড়কে যানজট নিরসনে বেশকিছু করণীয় রয়েছে। ফিডার রুট থেকে মহাসড়কে অল্প গতির যানবাহন না ওঠা, মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধ করা, সড়কের পাশ থেকে বাজার দূরে সরিয়ে নেয়া, যেসব স্পটে যানজট হয় সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্রেনের ব্যবস্থা রাখা, সকল বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা রাখা, বিকল হওয়া গাড়ি দ্রুত সরিয়ে নেয়ার মতো বিষয়গুলোতে জোর নজর দিতে হবে। এছাড়াও যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের একদিনে ছুটি না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দেয়া যেতে পারে। তাহলে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে ৩০ লাখ পোশাক শ্রমিক। পাশাপাশি মহাসড়কে কোনোভাবেই যেন লক্কর ঝক্কর বাস না নামতে পারে এ ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ-স্টিমার যেন নৌপথে চলতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নদীপথের যাত্রা কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায় সে ব্যাপারেও নিতে হবে যথাযথ পদক্ষেপ। রেলপথেও যাত্রী বিড়ম্বনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রেলের শিডিউল বিপর্যয় রোধ করতে হবে যে কোনো মূল্যে।

ঈদে প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ তাদের কর্মস্থল ছেড়ে যায় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উৎসব করতে। সেই যাত্রাকে যতোটা সম্ভব বিড়ম্বনামুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকাই কাম্য। যাত্রাপথের বিড়ম্বনায় ঈদের আনন্দের সামান্য ঘাটতিও যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তের কর্তব্য।

Advertisement

এইচআর/পিআর