জাতীয়

সাড়ে ৯ লাখ টাকার সেই ষাঁড় ২ লাখে বিক্রি

সাড়ে নয় লাখ টাকা দাম ওঠা কুষ্টিয়ার এক খামারির সেই ষাঁড়টির পা ভেঙে যাওয়ায় মাত্র দুই লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন খামারি।

Advertisement

ষাঁড়টিকে সুস্থ করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মাত্র দুই লাখ টাকায় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন কুষ্টিয়ার কাজী খামারের মালিক কাজী শওকত।

৩০ মণ ওজনের ওই ষাঁড়টি ট্রাকে করে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার আনার পথে দাঁড়িয়ে না থাকতে পেরে এক সময় পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায়। ষাঁড়ের ট্রাকটি কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় আসতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা।

ষাঁড়টির মালিক কাজী শওকত জাগো নিউজকে বলেন, অনেক চেষ্টা করলাম ষাঁড়ের পা ভালো করার জন্য। কিন্তু ভালো করতে পারলাম না। পা ভাঙার পর চিকিৎসা বাবদ পায় ১০ হাজারের বেশি টাকা খরচ করেছি। কিন্তু ষাঁড়টি দাঁড় করাতে পারলাম না। তাছাড়া এ ধরনের পঙ্গু পশু তো কেউ কোরবানির জন্য কিনবে না। তাই বাধ্য হয়ে মাত্র দুই লাখ টাকায় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।

Advertisement

কাজী শওকতের খামারে ১৮০টি গরুর মধ্যে এটিই ছিল সর্বোচ্চ ওজনের গরু। আসছে কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য ষাঁড়টি আগেভাগেই ঢাকায় পাঠান তিনি। অনেক কষ্টে লালন-পালন করা এ ষাঁড়টি এলাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকিয়েছিলেন সাড়ে নয় লাখ টাকা। কিন্তু আরও বেশি দামের আশায় ঢাকায় আনার পথে ট্রাকে পা ভেঙে যায় ষাঁড়টি। এতেই কপাল পোড়ে কাজী শওকতের।

সাতদিন চিকিৎসার পরও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা না দেখে চিকিৎসকের পরামর্শে ষাঁড়টি কসাইয়ের কাছে মাত্র দুই লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। এতে এক ষাঁড়েই সাড়ে সাত লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হন তিনি।

তবে কাজী শওকতের আশা ছিল, ষাঁড়টির যে ওজন তাতে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করলেও চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু ষাঁড়টি তার প্রত্যাশিত দামের অর্ধেকে বিক্রি করতে হয় তাকে।

এরআগে গত ১৭ আগস্ট জাগো নিউজে ‘এক ষাঁড়েই লোকসান সাড়ে চার লাখ টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

Advertisement

এফএইচএস/এসআর/পিআর