বন্যার পানি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করায় শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দুই উপজেলায় ৭০টি বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম, মাঠসহ অফিস কক্ষ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ আছে। আর বাকি ১৮৯টি বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও পাঠদান চালু রয়েছে। ১৯ আগস্ট দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
Advertisement
বন্যা কবলিত স্কুল শিক্ষার্থী তানভীর, রেজাউল, সোনিয়াসহ অন্যরা জানায়, প্রতি বছরই বন্যার সময় পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এছাড়া বসতবাড়িতে পানি ওঠায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতে হয়। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান শেখ জানান, কলমিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরলখার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সায়েদ আলী মাদবরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজি: আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুন্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাইজ্জারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালু বেপারীকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দুকমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আর উপজেলার ১১৬টির সবকটির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ উপজেলায় ১৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবকটির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আর এর মধ্যে ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ আছে।
Advertisement
তিনি জানান, যেসব বিদ্যালয়ে বন্যার কারণে পড়ালেখা বিঘ্নিত হবে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি চলে যাবার পর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে তা পূরণ করা হবে।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৭০টি স্কুলে বন্যার পানি উঠেছে। এই স্কুলগুলোতে পাঠদান ও সাময়িক পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর জাজিরা-নড়িয়ার ২৫৯টি স্কুলের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, উপজেলার বন্যার পানি নেমে গেলে শিক্ষকরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিটা পুষিয়ে দেবেন। আর শিক্ষার্থীরা যে পরীক্ষাগুলো দিতে পারল না সে পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমি সুপারভাইজাররা এটি মনিটরিং করবেন।
ছগির হোসেন/আরএআর/আইআই
Advertisement