আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে অবিলম্বে ৯ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
Advertisement
শনিবার জাতীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
নৌ-নিরাপত্তা সংক্রান্ত সুপারিশমালা ইতোমধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নৌ পরিবহন অধিদফতর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
৯ দফা সুপারিশ হলো- জননিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন, চলমান দুর্যোগকে বিবেচনায় নিয়ে ২১ আগস্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলার পুলিশ প্রশাসনকে নৌ নিরাপত্তার কাজে সম্পৃক্তকরণ, ফিটনেস ও নিবন্ধনবিহীন লঞ্চসহ সব ধরনের অবৈধ নৌযান বন্ধে অভিযান জোরদার, ঈদের ১০ দিন আগে সকল টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সকল টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে টেলিভিশন-বেতার ও লাউড স্পিকারে নিয়মিত আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারসহ সকল নৌযানকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে বাধ্যকরণ, ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধে ঈদের ১০ দিন আগে থেকেই যাত্রীবাহী নৌযানের সার্ভে কার্যক্রম স্থগিত, সকল টার্মিনালের শৌচাগার সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন ও পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা এবং ঢাকাসহ দেশের বড় বড় লঞ্চ টার্মিনাল সংলগ্ন সড়ক যানজটমুক্ত রাখা।
Advertisement
জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নৌ নিরাপত্তায় সরকারি পদক্ষেপসমূহ সার্বিক বিবেচনায় এখনও সন্তোষজনক নয়। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকদিন পরপর প্রবল বর্ষণের কারণে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ সড়ক-মহাসড়ক খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় সড়কে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আসন্ন ঈদে নৌ পথের ওপর সর্বাধিক চাপ পড়বে। এ কারণে দুর্ঘটনা রোধসহ নৌ পথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে জাতীয় কমিটির নেতারা মনে করেন।
এফএইচএস/এএইচ/আইআই