একটি নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেও স্বামীর স্বীকৃতি মিলছে না অঞ্জলীর (৩৩)। তিনি জেলার নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর গ্রামের আব্দুল হাকিম মলিকের ছেলে মিলন মলিককে (২৩) কোর্ট অ্যাভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন।কিন্তু বর্তমানে মিলন অঞ্জলীকে (ফাতেমা আক্তার, অ্যাভিডেভিটের পরের নাম) অস্বীকার করায় তিনি বর্তমানে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্ত্রী হিসেবে তার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।বৃহস্পতিবার পিরোজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অঞ্জলী জানান, গরীব বাবার সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা আনার জন্য তিনি আটঘর বাজারে একটি দোকান দিয়েছেন। একই বাজারে রয়েছে মিলনেরও একটি দোকান। মিলন অঞ্জলীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এতে তিনি রাজি হননি। পরবর্তীতে মিলন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনেক দিন পর্যন্ত অঞ্জলীকে বিরক্ত করার পর তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে মিলনকে বিয়ে করতে রাজি হন। পরে গত বছরের ২ অক্টোবর বরিশালে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অ্যাভিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর স্বামী স্ত্রী হিসেবে মিলন ও অঞ্জলী মেলামেশা করেন। তবে মিলন বিষয়টি তার পরিবারের লোকদের কখনো জানাননি। পরবর্তীতে এ বছরের ২০ জানুয়ারি অঞ্জলী তাকে মিলনের বাড়িতে নেয়ার কথা বললে, মিলন তাকে বিবাহ করার কথা অস্বীকার করেন। এরপর অঞ্জলী বিষয়টি স্থানীয়দের জানান এবং তাদের পরামর্শে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে ৫ ফেব্রুয়ারি মিলন ও তার এক বন্ধু রিপনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। অঞ্জলীর অভিযোগ মামলা করার পর মিলনের পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন মামলা তুলে নেয়ার জন্য। এই ঘটনার পর থেকেই মিলন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এমনকি মিলন অন্যত্র একটি বিয়ে করেছেন বলেও জানান অঞ্জলী। তিনি আরো জানান, বিয়ের পর তার জমানো ৩৫ হাজার টাকা বিভিন্ন অযুহাতে তার কাছ থেকে নিয়েছেন মিলন। তবে অঞ্জলীর অভিযোগ মিলনের বাবা কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের একজন দফাদার হওয়ায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার তাকে কোনো সহযোগিতাও করছেন না। হাসান মামুন/এমজেড/এমএস
Advertisement