দেশজুড়ে

বগুড়ায় ২৫ মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

বকেয়া বিল আদায়ে অভিযানে নেমেছে বগুড়া বিদ্যুৎ বিভাগ। ইতিমধ্যেই ২৫টি মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে পবিত্র রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে মসজিদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে বকেয়া পরিশোধ ছাড়া কোনোভাবেই পুনঃসংযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই।এ ব্যাপারে বগুড়া উন্নয়ন বোর্ড ডিবিশন-১ এর সহকারী প্রকৌশলী নুর আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল অনেক টাকা বকেয়া পড়ে গেছে। কোনো মসজিদই নির্ধারিত বিল পরিশোধ না করার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর এ কারণে এখন বকেয়া আদায়ে অভিযানের আর কোনো বিকল্প নেই।জানা গেছে, বগুড়ার শহর এবং শহরের বাইরে প্রায় ২০০ মসজিদের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া রয়েছে প্রায় দু`কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এ বিদ্যুৎ বিল আদায়ে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অথবা সংযোগের নোটিশ দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।বগুড়া পৌর এলাকার বৃন্দাবনপাড়া (দক্ষিণ পাড়া) জামে মসজিদের সেক্রেটারি হাজী শ্যামল জানায়, সস্প্রতি বকেয়ার দায়ে তাদের মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে মসজিদে নামাজ আদায় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে তারা জেনারেটর অথবা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের কথা ভাবছেন। গত কয়েক দিনে উত্তর জয়পুরপাড়া বায়তুল জামে মসজিদ, উত্তর মাটিডালিস্থ করতোয়া আবাসিক প্রকল্প জামে মসজিদ, মাটিডালি উত্তরপাড়া বাইতুর নাঈম জামে মসজিদ, মাটিডালি হাজীপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদসহ আরো ২৫টি মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। শহরের ধরমপুর এলাকার মুসল্লি আল ফরিদ জানান, এলাকায় মসজিদে কোনো নোটিশ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জনগণের বিক্ষোভের মুখে সংযোগ না কেটেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। মাটিডালি বন্দর মসজিদের সেক্রেটারি এবং জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পিতা মাহবুব হামিদ তারা জানান, তাদের মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে মুসল্লিরা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকদের জানায়, ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার  মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ ঘোষণার পর থেকেই তারা মসজিদের বিদ্যুৎ বিল প্রদান বন্ধ রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের কেউ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য তাগাদাও দেয়নি। তাই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা। জনগণের এ চাপের মুখে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ফিরে যায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।লিমন বাসার/এআরএ/আরআইপি

Advertisement