গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় বন্যার কারণে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার থেকে জেলার ১ হাজার ৪৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, জেলার সাত উপজেলার অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেসবের অনেকগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষ, স্কুল মাঠ ও স্কুলে প্রবেশের রাস্তায় এক হাঁটুরও বেশি পানি। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে চলতি দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরে সময় করে পরীক্ষা নেয়া হবে।
Advertisement
গত মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক বুক পানি, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক কোমর পানি, একই উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক হাঁটুর উপরে পানি, সাঘাটা ইউনিয়নের হাসিলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক কোমর পানি, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের কদমতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক হাঁটু পানি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
রওশন আলম পাপুল/এএম/জেআইএম