অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীদের দিয়েই চলছে ভারতে রমরমা যৌন ব্যবসা। আইজেএম এবং মহারাষ্ট্রের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী মুম্বাইয়ের অন্তত ১৫ শতাংশ বাণিজ্যিক যৌনপল্লিতে যৌন কর্মী হিসেবে কাজ করে নাবালিকারা।
Advertisement
২০১৫ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও উঠে আসে ভয়ানক এক তথ্য। গত এক দশকে শিশু ও নাবালিকা পাচারের সংখ্যা বেড়েছে ১৪ গুণ।
দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই সব অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অন্ধকার জগতে পা রাখা ধর্ষণের পর, কিংবা দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে বেঁচে থাকা ও পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে।
তাদের আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য দেয়া হয় হরমোন ইনজেকশন, গর্ভ নিরোধক এবং মোটা করার ওষুধ। বেশিরভাগই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৬ জন পুরুষের কাছে নিজের শরীর বিলিয়ে দিতে হয়। এর জন্যে হাতে আসে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা। তবে এর সিংহভাগই চলে যায় দালালের হাতে।
Advertisement
মুম্বাই, বিরার, থানে এবং নবি মুম্বাইয়ের মোট এক হাজার একশ ৬২টি যৌনপল্লীর এক লাখ ৮২ জন যৌনকর্মীর ওপর করা হয় এক সমীক্ষা।
তাতে দেখা যায়, গ্র্যান্ট রোডে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক যৌনপল্লী রয়েছে (৪৪৫)। এর পরেই তালিকায় নাম রয়েছে ভিওয়ান্ডি (৩৮৯), অন্ধেরী, ডোম্বিভালি, ভান্দুপ, চেম্বুর, উল্লাসনগর এবং কামাথিপুরা। অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মীর সংখ্যা সর্বাধিক পানভেলে (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং বোরিভালিতে (১২ দশমিক ৫ শতাংশ)।
দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিশোরীরা থাকে দালালদের নিশানায়। বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বেদিয়া প্রজাতির কিশোরীদেরও চাহিদা দেহ ব্যবসায় প্রবল। এদের ৭১ শতাংশেরই বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
আরও একটি তথ্য জানলে শিড়দাঁড়া দিয়ে বয়ে যাবে ঠাণ্ডা স্রোত। মুম্বাইয়ের দেহ ব্যবসা থেকে প্রতিবছর আমদানি হয় দুই হাজার ৫০ কোটি টাকা।
Advertisement
কেএ/পিআর