চাঁদপুরে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে শহরের নিম্নাঞ্চল। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। একদিনেই দেড় শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
Advertisement
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে বাড়ছে মেঘনার পানি। গত দুইদিনে বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, পানি বাড়ায় প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে। এ ছাড়া এ মাসের (আগস্ট) ২০ তারিখের পর পানির চাপ আরও বাড়বে।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ হযরত আলী বেপারী জাগো নিউজকে জানান, চর লগ্গীমারা, বলিয়ার চর, গোয়াল নগর, মান্দের বাজার গ্রামের দেড় শতাধিক বসতভিটা নদীর স্রোতে ভেসে গেছে। এ ছাড়া চর লগ্গীমারার একটি মসজিদসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্র ভেঙে গেছে। ভাঙনের কবলে পরে এসব পরিবারের সদস্যরা এখন নিঃস্ব।
Advertisement
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ভাঙন কবলিত ১শ’ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, চিড়া, গুড়, চিনিসহ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ বিতরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
ইকরাম চৌধুরী/এমএমজেড/আরএস/আইআই