কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কমতে শুরু করেছে জেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি। কিন্তু পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বের হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। স্রোতের ফলে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের দু’দিক ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের ও ৩ উপজেলার সঙ্গে সড়ক বিছিন্ন হওয়ায় জেলায় ৬ দিন থেকে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার মহাসড়কে প্রায় ১৪০কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় বন্যায় ৪৪ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে।
জেলা প্রশাসনের কনট্রল রুমের তথ্য মতে, ৯টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের ৭২৪টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার মানুষ। গেল এক সপ্তাহে বন্যায় ১৯ জন মারা গেছে। ৫০ হাজার ০১ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হওয়ায় প্রায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৫ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার ৬১২টি পরিবার। ভেসে গেছে ২৩টি ব্রিজ ও কালভার্ট। বানভাসী ২৫ হাজার পরিবার ৪০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
Advertisement
এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৬৫২ মেট্রিক টন চাল, ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ আছে ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শুকনা খাবার দু’হাজার প্যাকেট।
নাজমুল হাসান/এফএ/আইআই