বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নড়াইলের সন্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইলের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে শামিল হলেন। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মাশরাফি বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টায় নড়াইল পাবলিক লাইব্রেরিতে এক মতবিনিময় সভায় আগামী ঈদুল আজহার দুদিন পর ৪ সেপ্টেম্বর ‘রান ফর নড়াইল’ নামে শহরে পদযাত্রার ঘোষণা দেন। শহরের রূপগঞ্জে ঐতিহাসিক বাঁধাঘাট চত্বর থেকে নড়াইল চৌরাস্তা পর্যন্ত তিন কি.মি. এ পদযাত্রায় তিনি নেতৃত্ব দেবেন।
Advertisement
মতবিনিময় সভায় মাশরাফিকে সামনে রেখে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে একটি ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবনা এবং নড়াইলের সার্বিক উন্নয়নের দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাশরাফি।
‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে ফাউন্ডেশনের অন্যতম উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম অনিক ‘নড়াইল হবে প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাসস্থান’ শীর্ষক উন্নয়নের ৮টি দিক সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
মাশরাফি তার বক্তব্যে বলেন, নড়াইল আমার জন্মস্থান। নড়াইলকে অত্যন্ত ভালোবাসি। তাই সুযোগ পেলেই জন্মস্থানে ছুটে আসি। আপনারা সাথে থাকলে দলমত নির্বিশেষে জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সমস্যার সমাধান সম্ভব।
Advertisement
তিনি তার বক্তব্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অটোরিকশা, রিকশা-ভ্যান চালকদের ফ্রি পানির ব্যবস্থা করা, ক্রিকেট, টেবিল-টেনিস, ভলিভল খেলার উন্নতি, পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে তার যা যা করা উচিত তা করবেন বলে উপস্থিত সকলকে কথা দেন।
বুধবার রাতে মাশরাফির কয়েকজন বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় নড়াইলের উন্নয়নে মাশরাফির এগিয়ে আসাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মুন্সি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হুমায়ুন কবির, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এস.এ মতিন, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুর রহমান হিলু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরীফ মুনীর হোসেন, নড়াইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা নজরুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী কাজী হাফিজুর রহমান, নড়াইল পৌর কাউন্সিলর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
এছাড়া অাওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ৮টি বিষয়ে লক্ষ্য অর্জনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হলো- উন্নত নাগরিক সুবিধা, বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও মানবিক শিক্ষার প্রচলন, বেকারত্ম দূর করার জন্য কর্মস্থান সৃষ্টি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান, চিত্রা নদীকে ঘিরে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা করা, আইসিটি শহরে রূপান্তরিত করা এবং পরিবেশকে সম্পৃক্ত রেখে বিনোদনবান্ধব শহর গড়া।
Advertisement
হাফিজুল নিলু/এনইউ/জেআইএম