দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ২২ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ লাখ মানুষ। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাবেক এই পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণতৎপরতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। এছাড়া বাঁধ নির্মাণের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১৯০০ কিলোমিটার বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোন বাঁধ কি অবস্থায় আছে, কোন বাঁধের ওপর স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
Advertisement
কমিটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ড্রেজার পরিদফতরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এর জনবলকে প্রশিক্ষণ দেয়ার সুপারিশ করে। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিটি নদীতে পানির প্রবাহ চলমান রাখার জন্য ড্রেজিং মাস্টার প্লানের আওতায় একটি গাইডলাইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং অনুপম শাহজাহান জয় বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement