জাতীয়

জোরদার হচ্ছে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম

ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে হতদরিদ্র মানুষকে মুক্তি দিতে বিশদ পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে পুনর্বাসন করা হবে। নতুন অর্থবছর থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এ খাতে পৃথক বরাদ্দ রাখা হবে। আর ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে সামাজিক সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। শারীরিকভাবে সক্ষমদের কাজের ব্যবস্থা করে দেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর শারীরিকভাবে অক্ষমদের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা, মুদি বা টং দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এতে অর্থের জোগান দেবে সরকার। একে দান বা ভর্তুকি নয় বরং বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হবে। এ খাতের বাজেট বরাদ্দ সুষ্ঠু বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। সূত্রমতে, এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে এ খাতের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ খাতে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয় এবং স্বল্পপরিসরে কয়েকটি এনজিওকে দায়িত্ব দিয়ে শুধু ঢাকা শহরে ভিক্ষুক জরিপ চালানো হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত। তবে নতুন জরিপ করে এর প্রকৃত সংখ্যা বের করা হবে। পরে তাদের সেবাদানের পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে `ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প` নামে ভিক্ষুকদের নিয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেটি পুরোপুরি সফল না হলেও আবারও এ ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। প্রয়োজনে ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়াতে আবারও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন, আগামী অর্থবছর থেকে ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে স্ব স্ব এলাকায় ফেরত পাঠানো হবে। নারী ভিক্ষুকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হবে। আর শিশু-কিশোর ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে তাদের কর্মমুখী শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা থাকছে আগামী বাজেটে।এএইচ/এমএস

Advertisement