দেশজুড়ে

বেড়েই চলছে বন্যার পানি : শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। দুই জেলা শহরের সংযোগ সড়কের ডাইভারশনের উপর দিয়ে চার ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে শেরপুর-জামালপুরের সড়ক যোগাযোগ। তবে বন্যার পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Advertisement

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) উপর দিয়ে প্রায় চার ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বন্যার পানি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশগুলো দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুরের চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নতুন করে লছমনপুর, চরপক্ষিমারি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

চরপক্ষিমারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের সবগুলোই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এখন বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করছে। পানিবন্দি লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। এ ছাড়া নতুন করে বেপারীপাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।

Advertisement

বন্যার পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় শেরপুর সদরের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম মির্ধা।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যায় সদরের চরাঞ্চলের ৬ ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে গত দুইদিনে বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। বন্যার্তদের জন্য ৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানান, সদরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৪ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫ মেট্রিক টন চাল ও ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এদিকে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারি ইউনিয়নের ৫০০ শত বন্যার্ত মানুষের মাঝে বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৫ কেজি করে চাল, আধা কেজি ডাল ও এক কেজি করে লবণ বিতরণ করেছেন।

উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা সদর ছাড়াও পাহাড়ি ঢলে নতুন করে নকলার উপজেলার নিন্মাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে সেখানেও বসবাসরত জনসাধারণও রয়েছেন বন্যা আতঙ্কে।

Advertisement

হাকিম বাবুল/আরএস/আইআই