হজের সফর এমনিতে অনেক কষ্টের। এ কারণেই আর্থিক সক্ষমতার পরে শারীরিক সামর্থকেও হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্তারোপ করা হয়েছে। কিছু দেশের নাগরিকের জন্য হজের সফর অনেক কষ্টের।
Advertisement
মনে হয় যেন বাইতুল্লায় পৌছতেই লম্বা সফর করতে হবে। এমনই একটি দেশ ফিলিস্তিন। যা ‘ইসরাইল’ নামক ইয়াহুদি রাষ্ট্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরী হলো ‘গাজা’।
গাজা’র সঙ্গে বহিঃবিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থল হলো ‘রাফা ক্রসিং’ সীমান্ত বর্ডার। যার মাধ্যমে ইসরাইলে এড়িয়ে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
অথচ রাফা ক্রসিং বছরের প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ৫ মাস পর পর এ বর্ডার খোলা হয়। গাজাবাসীদের হজ উপলক্ষে তা এখন উন্মুক্ত। খোলা থাকবে মাত্র ৪দিন। এটি মিসর ও গাজার সংযোগ স্থল।
Advertisement
গাজা অঞ্চলের ২ হাজার ৫০৮জন হজযাত্রী এ বর্ডার ব্যবহার করে এবার হজ পালন করবে। গত ১৪ আগস্ট সোমবার এ বর্ডার দিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছে ৮শ’ হজযাত্রী।
যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী পরিবারের ৫শ’ সদস্য। যারা সৌদি আরবের বাদশা সালমানের নিমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে হজ পালন করবে।
গাজাবাসীদের এ হজের সফর অনেক কষ্টের। এমনিতেই বছরজুড়ে গাজাবাসীদের দিন কাটে বন্দুকের নলের নিচে।
কখনো বাড়িতে, কখনো অস্থায়ী ক্যাম্পে, কখনোবা মরুভূমিতে। যা ফুটে ওঠেছে হজের সফরেও।
Advertisement
এ সফরে কেউ আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় ব্যস্ত। কেউবা তাসবিহ পড়ছেন। কেউবা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
আবার কেউ পঙ্গুতবরণ করে পরাজিত সৈনিকের মতো ভাবছেন পবিত্র কাবা ও মদিনা মুনাওয়ার কথা। যা ফুটে ওঠেছে তাদের চোখের চাহনি, মুখায়বের ভাষায়।
আল্লাহ তাআলা নির্যাতিত গাজাবাসীর হজের সফরের সব কষ্টকে কবুল করুন। তাদের বাইতুল্লাহর সফর ও মদিনার জিয়ারত কবুল করুন। তাদের সব স্বজাতিকে আল্লাহ তাআলা সব ধরনের জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর