গাইবান্ধার নদ-নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপরে থাকলেও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Advertisement
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া গত ১২ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি কাটাখালি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ সময় তিস্তা নদীতে পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৮১ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে ৫৬ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়।
Advertisement
জেলা প্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী চলতি বন্যায় গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি কমছে।
রওশন আলম পাপুল/এমএমজেড/আরআইপি
Advertisement