যমুনার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Advertisement
উজানে যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
গত ৩ দিনে জেলায় শিশুসহ বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় আরো ১৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬৮টি। বন্যায় সবমিলিয়ে জেলার ৭টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভার ৭ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সরকারিভাবে জেলায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু সড়কে। কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই তার উপর গো-খাদ্য জোটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে অসহায় বানভাসী মানুষগুলোকে।
Advertisement
শুভ্র মেহেদী/এফএ/আরআইপি