দেশজুড়ে

ভোলায় বন্যার আশঙ্কায় ৮ কন্ট্রোল রুম

উত্তরাঞ্চলের পর দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা হতে পারে এমন আশঙ্কায় ভোলায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা মোকাবেলায় জেলার সাত উপজেলায় ৭টিসহ মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। জেলায় এবছর এক লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।

এদিকে, জেলায় ৮৬ হেক্টর জমিতে ৮০০ হেক্টর জমিতে আউশের আবার হলেও ভারি বর্ষণের কারণে ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। এ অবস্থায় জেলায় বন্যা হলে এসব ফলস নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষিবিভাগ।

Advertisement

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যপ্ত খাদ্য শস্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছি।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভোলায় ফসলের মাঠে এ মুহূর্তে আউশ রোপনের কার্যক্রম চলছে অন্যদিকে আমন ঘরে তোলার সময় হলেও গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ এবং বৈরী আবাহাওয়ার কারণে সকল কার্যক্রমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বন্যায় ভেসে যেতে পারো কয়েক কোটি টাকার ফলস। এ অবস্থায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মাহাবুব হোসেন জানানম গত ৩/৪টি জেলায় শতাধিক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই ভারি বর্ষণ হচ্ছে।

তবে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর বৃষ্টি বরিশাল অঞ্চলের ভারি বর্ষণ কমে যেতে পারে, তবে ভারতীয় পানি নেমে নামার সময় কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

Advertisement

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণে বাঁধের ভেতর ও বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এতে আউশ খেত ডুবে আছে। ফলে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় হাজার হাজার কৃষক। অন্যদিকে রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না আমন ধান।

এএম/আরআইপি