থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এছাড়া থাইল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনায় থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন তিনি।
সাইদা মুনা তাসনীম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। পাশাপাশি ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি তার সহনশীলতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ‘বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।
Advertisement
বাংলাদেশের মুক্তির আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক নেতৃত্বের কথা বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরেন সাইদা মুনা তাসনীম। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দৃঢ়চেতা মনোভাব তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি ১৯৭২-৭৫ সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অর্জনগুলো উপস্থাপন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মসূচি শুরু হয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে। এছাড়া মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সাইদা মুনা তাসনীম ও অন্যান্যরা। ব্যাংককের বিভিন্ন স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement