খেলাধুলা

বিএনপির রূপকল্পে প্রত্যেক জেলায় ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নতুন ধারার রাজনীতির প্রতিশ্রুতি নিয়ে গত ১০ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে রূপকল্প ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন সেখানে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নেরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।

Advertisement

তবে বিএনপির ঘোষিত এ রূপকল্পে খেলাধুলার উন্নয়নে কী আছে গত তিন মাসেও আলাদা করে প্রকাশ করেনি দলটি।

অবশেষে বিএনপি তাদের ভিশনে ক্রীড়াঙ্গনের যে বিষয়গুলো আছে তা আলাদা করে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। দলটির ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সহসাই তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেই মূলত বিএনপির এ রূপকল্প ঘোষণা। সেই ভিশন-২০৩০ এ খেলাধুলার কী আছে? দলটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী দেশ পরিচালনা, সুখী সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং জনগণের মালিকানায় আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ৩৭টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে রূপকল্প ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। সেখানে খেলাধুলার অংশটুকু আমরা সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেব।

Advertisement

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন চলছে দলীয়করণ। আমরা চাই দলীয়মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন। ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্ব থাকবে প্রকৃত সংগঠকদের হাতে। তিনি যে রাজনৈতিক মতাদর্শেরই হোন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানে দেখা যায় দলীয়রা গুরুত্ব পান। রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনায় নয়, আমরা প্রকৃত সংগঠক ও ক্রীড়াবিদদের জন্য এ পুরস্কার নিশ্চিত করব।’

বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক দেশের খেলাধুলার মান দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে নেয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দেশের খেলাধুলার মান এ অঞ্চলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে দীর্ঘমেয়াদি কোচ নিয়োগের চিন্তাভাবনা আছে আমাদের। গতানুগতিক ধারায় নয়, আমরা সব কিছু করব আধুনিক চিন্তাচেতনা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে। খেলোয়াড়রা যাতে তার নিজ ডিসিপ্লিনে সন্তুষ্ট থেকে দেশের জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারেন এবং তার পরিবারকেও সুখে রাখতে পারে সেদিক নির্দেশনাও থাকবে।’

বিএনপির রূপকল্পে বড় করে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি বেশি ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ওপর। সাভারের জিরানিতে আছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেট, দিনাজপুর, খুলনাসহ আছে বিকেএসপির আরও কয়েকটি শাখা। বিএনপি তাদের রূপকল্পে এই ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চায়। তাদের প্রথম লক্ষ্য দেশের প্রতিটি জেলায় এই ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা।

এর পাশাপাশি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা আছে তাদের ভিশন-২০৩০ এ। ‘সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। সেটা গতানুগতিক নয়। অন্তত ৫-৬টি ডিসিপ্লিনের ওপর আলাদা ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগের চিন্তাভাবনা আছে আমাদের।

Advertisement

আর এ শিক্ষক তৈরির জন্য আমাদের পরিকল্পনায় আছে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। যেখান থেকে ডিগ্রি নেয়া শিক্ষার্থীরাই যাতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় তারও একটা রোডম্যাপ থাকবে। আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে’ -বলেছেন সাবেক এ ফুটবলার।

আরআই/এনইউ/জেআইএম