অর্থনীতি

পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে বাজেটে আসছে প্রণোদনা

২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা বৃহস্পতিবার। বাজেটে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করেত কোম্পানির করপোরেট কর কমানো ও লভ্যাংশের কর সীমা বৃদ্ধিসহ থাকছে বেশ কিছু প্রণোদনা।বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির করপোরেট কর হার রয়েছে ৩৫ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে এই হার দুই শতাংশ কমতে পারে।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাড়ে ২৭ শতাংশ কর হার দুই শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ২৫ করতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে। আর স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে নতুন অর্থবছরে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর উপর আরোপিত করহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রয়েছে। তাদের মতে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর উপর থেকে করের বোঝা কমালে আরো বেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ পাবে।শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করতে কোম্পানির দেওয়া লভ্যাংশে কর সীমা বাড়াচ্ছে সরকার। আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।এছাড়াও প্রস্তাবে আগামী অর্থবছরে স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত শেয়ার লেনদেন থেকে অর্জিত আয়ের ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশ ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের স্কিমের আওতায় স্টক এক্সচেঞ্জের যে সংস্কার চলছে তা চলমান রাখতে কর অবকাশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য শতভাগ অব্যাহতি সুবিধা চেয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর স্টক এক্সচেঞ্জের আয়কে শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে সরকার। তবে পরের বছরগুলোতে কর অব্যাহতির হার পর্যায়ক্রমে কমবে।এদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেট হচ্ছে পুঁজিবাজারবান্ধব এমন আশ্বাস দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বাজেটে এমন কোন প্রস্তাব থাকবে না। বরং ইতিবাচক কিছু থাকছে বাজেটে।আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট পেশ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। টানা দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এটি হবে সপ্তম বাজেট। এর আগে এরশাদ সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটও ঘোষণা করেন তিনি। সব মিলিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এটি নবম বাজেট।প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের আকার হবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেট অপেক্ষা ১৮ শতাংশ বেশি।এসআই/এসএইচএস/আরআই

Advertisement