রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর পর পুলিশের গুলিতে নিহত জঙ্গি শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আয়োজিত মিছিল-সমাবেশে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
Advertisement
মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইজিপি।
তিনি বলেন, ‘শোক দিবসে ৩২ নম্বরে যে মিছিল-সমাবেশ হবে তাতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল ওই জঙ্গি। গতকাল থেকেই আমরা এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলাম। এজন্য সোমবার সারারাত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় ও অনেক সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ফলো করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘পরে জানতে পারি এই এলাকার কোনো হোটেলে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে নাশকতার উদ্দেশ্যে। তাদের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল। পরে রাতেই গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ এ হোটেলে অভিযান চালায়। এ সময় হোটেলের সব কক্ষ তল্লাশি করা হলেও, এই কক্ষ (জঙ্গির কক্ষ) ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। কেউ সাড়াও দেয়নি। এতে ভেতরে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। পরে চারদিক থেকে হোটেলটি ঘিরে ফেলা হয়।’
Advertisement
আইজিপি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হলেও পৌনে ১০টার দিকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সে। এতে হোটেলের দরজা, রেলিং ও কাচ ভেঙে পড়ে। এ সময় পুলিশ ওই জঙ্গিকে সুইসাইডাল ভেস্ট ও ব্যাগপ্যাকসহ দেখতে পায়। পরে তাকে গুলি করা হয়।’
এদিকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, হোটেলের যে কক্ষে বিক্ষোরণ ঘটেছে, আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক যুবক সোমবার রাতে সেটি ভাড়া নেয়। হোটেলের রেজিস্টার খাতার তথ্য অনুযায়ী ওই যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম, বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়।
পুলিশ ধারণা করছে, ওই যুবকই (সাইফুল ইসলাম) আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ওই হোটেলটি ঘিরে রাখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
Advertisement
এআর/এসআই/এসআর/জেআইএম