জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮৮ সালের বন্যার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকালে এই পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ১৯৮৮ সালের বন্যায় এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
Advertisement
এদিকে ক্রমেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে জামালপুর সদর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে জেলার ৭টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ৫ হাজার হেক্টর রোপা আমন। বন্যার পানিতে রেল লাইন ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। পানি উঠে পড়ায় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। ভেঙে পড়েছে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় এখন পর্যপ্ত ৪৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল সাবরিন জানান, দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।
Advertisement
শুভ্র মেহেদী/আরএআর/জেআইএম