বিনোদন

সালমানের মৃত্যু নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নের জবাব দিলেন সামিরা

খুন না আত্মহত্যা? ঢাকাই ছবির নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে জট খুলেনি আজও। সালমানের পরিবার এটিকে খুন দাবি করে আঙুল তুলেছেন সামিরা ও তার পরিবারের উপর। সন্দেহভাজন আছেন আরও কয়েকজন।

Advertisement

তবে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা দাবি করেছেন সামিরা। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‌‘মেনে নিতে কষ্ট হলেও ধ্রুব সত্যি এটাই সালমান আত্মহত্যা করেছে। আবেগের জায়গা থেকে এটাকে খুন বলা হলেও এর কোনো প্রমাণ কিন্তু নেই।’

সালমানের মা, ভাই ও তারা মামারা এটিকে খুন বলে দাবি করছেন। তারা বেশ কিছু প্রশ্নও রেখেছেন দেশবাসীর সামনে সামিরাকে উদ্দেশ্য করে। যার মধ্যে আছে আত্মহত্যা করলেও সালমানের মুখ কেন বিকৃত হয়নি? ফাঁসি নিলে সালমানের শরীর কেন পরিষ্কার ছিলো? সালমানের তাকে কেন দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়নি? কেন তার শরীরে তেল মালিশ করা হচ্ছিলো? সালমান মালবোরো গোল্ড সিগারেট খেতেন।

তবে তার ঘরে ডানহিলের প্যাকেট কী করে এলো? সালমানের লাগেজে কেন চেতনানাশক ওষুধ পাওয়া গেল? সেখানে কেন ভেজা তোয়ালে ছিলো? কেন আত্মহত্যার দিন সকালে সালমানের বাবাকে সালমানের সঙ্গে দেখা করতে দেননি সামিরা? আরও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

এইসব প্রশ্নের জবাব জানতে চাইলে মাধ্যমে পাল্টা কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সামিরা। তিনি বলেছেন, ‘সালমানের মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো পাবলিসিটি চাইনি। এ নিয়ে আমি কাঁদা ছুঁড়াছুঁড়ি হোক তাও চাইনি। তবু আজ যখন কথা বলছি কিছু প্রশ্ন সালমান ভক্তদের কাছে রেখে যেতে চাই। তাদের মনে একতরফাভাবে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়া হয়েছে। সেইসব প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমি কিছু প্রশ্ন রেখে যেতে চাই। যে উত্তরগুলো আমিও পাইনি বা পাচ্ছি না।

মরদেহ সবাই দেখেছে। তার মুখ তেমন করে বিকৃত না হলেও জিহ্বাটা ঠোঁটের ফাঁকে দেখা যাচ্ছিলো। সাধারণত লাশ দীর্ঘ সময় ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলে মুখ বিকৃত হয়। সালমান আনুমানিক বিশ মিনিটের মতো ঝুলন্ত ছিলো। সেজন্যই হয়তো বিকৃত হয়নি। সালমানের চোখ খোলা ছিলো। আমি কাজের লোকদের সঙ্গে নিয়ে লাশ নামানোর পর ওর চোখ বন্ধ করেছি।

তারচেয়েও বড় কথা, সালমানের লাশের সুরতহাল বর্ণনা করেছিলেন রমনা থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান। সেখানে আত্মহত্যাই বলা ছিলো। আজ সালমানের পরিবার এত প্রশ্ন করছেন, সন্দেহ করছেন তার খুন হওয়া নিয়ে। তবে তখন কেন এই সুরতহালে স্বাক্ষর করলো তারই বাবা, ভাই ও আত্মীয়রা? কেন সেদিন তারা এই সুরতহাল সঠিক না হলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি?

সুরতহালেল সেই রিপোর্টটি ঘেঁটে দেখা গেছে, সালমানের গায়ে হলুদ রঙের গেঞ্জি ও ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট পরনে ছিলো। দুই হাত ও পা লম্বালম্বি ছিলো। নখ ছিলো নীল বর্ণের। গলায় দুই কানের লতির নীডে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধ চন্দ্রাকৃতির দাগ ছিলো।

Advertisement

পুরুষাঙ্গ দিয়ে বীর্য বের হচ্ছিলো। মলদ্বার দিয়ে মল বের হচ্ছিলো। বুকের বামপাশে একটি কালো দাগ ছিলো। যা সালমানের আত্মহত্যারই প্রমাণ দেয়। সেই সুরতহাল রিপোর্ট মেনে নিয়ে সেখানে স্বাক্ষর করেছিলেন সালমানের বাবা, ছোট ভাই বিল্টু, খালাতো ভাই আহরাব হাসান ও পরিচালক বাদল খন্দকার।

সামিরা আরও বলেন, ‘সালমানের বুকের বামপাশে একটি কালো রঙের দাগ ছিলো সেই সুরতহালে। সে নিয়ে তার পরিবার প্রশ্ন তুলেছে এটি কীসের আঘাতের চিহ্ন। আমি প্রশ্ন করতে চাই তারা কী সত্যি জানেন না যে এটা কীসের চিহ্ন ছিলো? যদি না জেনে থাকেন তবে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। সালমান মৃত্যুর কিছুদিন আগেই গাড়ি এক্সিডেন্ট করে। গাড়ির সামনের দিকটা ধুমড়ে গিয়েছিলো। সেসময় সে বুকে ব্যাথা পায়। সেটা অনেকেই জানতো তখন। ভাঙা গাড়ির ছবির আমার কাছে আছে। যদি তারা দেখতে চায় আমি দেখাবো। আমি জানি সালমানের মা ও ভাই বিষয়টা জানে। তবে তারা কেন মিথ্যে কথা বলছে?’

সামিরা দাবি করেন, ‘সালমান যেদিন আত্মহত্যা করে সেদিন সকালে তার বাবা এসেছিলো সালমানের সঙ্গে দেখা করতে। আমি উনাকে বসতে দিয়েছিলাম। তিনি চা খেয়েছেন। ছেলে ঘুমিয়ে আছে শুনে দেখা করেননি। আমি ডেকে দেবো কি না জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন- ইমন ঘুমাচ্ছে। আমি যাই। পরে এসে দেখা করে যাবো। এই কথা সালমানের বাবা বেঁচে থাকতেই আমি তদন্ত কর্মকর্তাসহ নানান জনের প্রশ্নের জবাবে বলেছি। তবে কেন তারা এই ঘটনাকে মিথ্যে করে প্রকাশ করছেন?’

সালমানের পোস্টমর্টেম হয়েছে দুইবার। দুইবারই তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলো। দুইবারই আত্মহত্যার রিপোর্ট এসছে। যদি খুনই করা হতো তবে ভিন্ন কিছু আসেনি কেন? আর কেনইবা তারা সেই রিপোর্ট মেনে নিলেন?- প্রশ্ন সামিরার।

কেন সালমানকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়নি এই প্রশ্নের জবাবে সামিরা বলেন, ‘যেদিন সালমান মারা গেল সেদিন বাসায় আমি আর কাজের লোক ছাড়া আর কেউ ছিলো না। যখন ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই আমরা চিৎকার চেচামেচি করে ওকে নামিয়ে আনি। সালমানের মাথা কোলে নিয়ে আমি কাঁদতে থাকি। চিৎকার শুনে লোকজন আসতে থাকে। সবাই দেখার চেষ্টা করছিলো সালমানের দম পড়ছে কি না। কেউ পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলো, কেউ তেল মালিশ করছিলো। বাসায় জমজমের পানি ছিলো সেটাও দেয়া হচ্ছিলো।

বাসায় কোনো ল্যান্ড ফোন ছিলো না যে তৎক্ষণাত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবো। যে মোবাইলটি ছিলো সেটা সালমান আগেই এক ঝগড়ার সময় রাগে ভেঙে ফেলেছিলো। পাশের বাসা থেকে আমাদেরই প্রতিবেশি ইমনদের বাসায় কল দিয়ে তার আত্মহত্যার খবর জানায়। সবাই ছুটোছুটি করছিলো আতঙ্কে, হতবাক হয়ে। আমিও তো শোকে হত বিহ্বল ছিলাম। তবে কেমন করে আমাকে দায়ি করা হয় সালমানকে দ্রুত হাসপাতালে না নেয়ার জন্য?’

সিগারেটের প্যাকেট ও চেতনানাশক ওষুধের শিশি পাওয়া প্রসঙ্গে সামিরা বলেন, ‘সালমানের আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তারা ফাঁসির রশি, ফ্যানের ছবি নেয়। সালমানের প্যান্টের পকেটে পাওয়া সালমানের চিরকুটটি জব্দ করে। সারা ঘর তন্ন তন্ন করে সবকিছু উলট পালট করে। যেখানে যা পেয়েছে সন্দেহ অনুযায়ী তারা নিয়ে যায়। বাসাটি সিলগালা করে চাবি নিয়ে যায় পুলিশ। দুই-তিনদিন পর ওই ফ্ল্যাটে মিলাদ পড়াবে বলে পুলিশের কাছে আবেদন করে চাবি নিয়ে আসেন নীলা চৌধুরী। এরপরই সিগারেটসহ নানা কিছু বের হয়।

তারা দাবি করে দরজায় দায়ের আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু তাদের দাবি পুলিশ গ্রহণই করেনি। নীলা চৌধুরী চাবি নিয়ে সেইসব জিনিসপত্র ঢুকিয়েছেন বলে পুলিশ এগুলোকে আলামত হিসেবে আমলে নেয়নি। তবে এইগুলো নিয়ে কেন আমাকে প্রশ্ন করা হয়? বাসার চাবি তো আমি আনিনি, নীলা চৌধুরী এনেছেন। আর ঘটনার দিন পুলিশ এইসব কিছুই পায়নি। তবে এতসব আলামত কোথা থেকে আসলো? আর একটা তোয়ালে কী ছয়দিন ভেজা থাকে? আর ওই চেতনানাশক ওষুধের বোতলটি ছিলো ‌‌‘ইনটেক’। সেটি ব্যবহার হয়নি। সবই তো আসলে করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য। তাই নয় কী?

যদি ধরেই নেয়া হয় সালমান আত্মহত্যা করেছেন তবে একই বাসায় থেকে আপনি টের পেলেন না কেন? এর উত্তরে সামিার পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‌‌‘কেউ কেউ বলেন বেডরুমে সালমান ফাঁস নিয়েছে। এটি মিথ্যে কথা। সালমান যে ঘরে আত্মহত্যা করেছে সেটি হলো ড্রেসিং রুম। তাই সে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটালো কেউ টেরই পাইনি। সালমান কোন ঘরে আত্মহত্যা করেছে ও কোন ঘরে আমরা থাকতাম সেটাতো সালমানের পরিবার জানে। তবে কেন মিথ্যে কথা বলছেন?’

সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুমের সঙ্গে সালমানদের সম্পর্ক ভালো ছিলো না। সালমান খুব পছন্দ করতো তার অন্য দুই মামাকে। বিশেষ করে জগলুল মামার সঙ্গে তার সখ্যতা ছিলো। আর খালাদের মধ্যে মলি খালাকে খুবই পছন্দ করতো। বলা চলে মায়ের চেয়েও বেশি পছন্দ করতো সে খালাকে। কিন্তু আলমগীর কুমকুম মামাকে সে অতেটা পছন্দ করতো না। কারণ সিলেটে যে বাসাটিকে সালমান শাহ ভবন নাম দেয়া হয়েছে সেই বাসাটি তিনি একাই দখল করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে সালমান ও তার মা আলমগীর কুমকুমের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো।

আমি অনুরোধ করবো দেশবাসী ও সালমান ভক্তদের তারা খোঁজ নিয়ে দেখুক সালমান শাহ ভবনের মালিকানা কার নামে। তারা সালমানের নাম বেচে সেখানে জাদুঘর বানিয়ে পয়সা কামানোর ব্যবস্থা করেছেন। সালমানকে তারা এভাবেই ব্যবহার করছেন। কিন্তু কেন? তার নামে একটা মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল করতে পারেনি?

সামিরা আরও বলেন, ‘সালমান শাহ কক্সবাজারে জায়গা কিনেছিলো। সেইসব জায়গার কী খবর? আমার নামেও সে জায়গা কিনেছে। এ নিয়ে ওর মা মন খারাপ করেছিলো। সেই জায়গার কী খবর? ছেলের মৃত্যুকে খুন বলে চালিয়ে ধান্দা ফিকির করে যাচ্ছেন, পাবলিসিটি নিচ্ছেন, রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু ছেলের নামে একটা কিছু গড়ে তুলতে পারলেন না কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘রিজভী নামের একজনকে মিথ্যে সাক্ষী বানিয়ে লোক হাসানো হয়েছে। তখন সালমানের পরিবাররের উপর আইন প্রশাসন বিরক্তি প্রকাশ করেছিল তদন্ত কার্যে সময় নষ্ট করায়। কেন করলেন তারা এমনটি?’

পরকীয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার সম্পর্কে দেশবাসীকে ক্ষেপিয়ে তুলতেই নীলা চৌধুরী অপরাধ বিচিত্রার মতো কিছু কাগজকে দিয়ে এইসব মুখরোচক গল্প ছড়িয়েছে। আমি যদি এতই পরকীয়া করে বেড়াতাম তবে সেইসব নিয়ে নীলা চৌধুরী ইমনের মৃৃত্যুর আগে কথা বলেনি কনে? ইমনইবা কাউকে কিছু বলেনি কেন? ইমন কী কাপুরুষ ছিলো? মোটেও না। ইমন কেমন সেটা ফিল্মের র সবাই জানে। তারা জানে আমার সঙ্গে ইমনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। কোথায় হয়নো ঝগড়া। সব সংসারেই হয়। একজন স্ত্রী যখন জানবে তার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে প্রেম করছে তখন সে তো কষ্ট পাবেই। ঝগড়া করবেই। আমিও করেছি। সেগুলো মিটমাটও হয়েছে।

আমার নামে কোনো ত্রুটি না পেলে ইমনের মা পরকীয়ার গল্প ছড়িয়েছেন নানানজনের সঙ্গে। যেখানে যাকে পেয়েছেন তার নামই বলেছেন। অথচ একটা প্রমাণ, একটা যুক্তি তিনি দিতে পারেননি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে আমি চিনতামও না। তার নাম এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়ানো হয়েছে এটাকে টুইস্ট দিতে। অথচ, এই কথা চলচ্চিত্রের কেউ বলতে পারবে না যে তার সঙ্গে আমার তো দূরের কথা, সালমানেরও কোনো সখ্যতা ছিলো। এটা সম্পূর্ণই কাল্পনিক।

সালমান ভক্তদের বুঝতে হবে, কেন এইসব গল্প ছড়িয়েছে ইমনের পরিবার। কেবলমাত্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য। ইমন আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসতো এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি নীলা চৌধুরী। আর ইমনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিলো না। নীলা চৌধুরী আমার গায়েও হাত তুলেছে। সেই ঘটনার পর ইমন রেগে গিয়ে আমাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যায় উনার থেকে।

শেষদিকে নীলা চৌধুরী সংসদ নির্বাচন করতে চাইছিলেন। ইমনের আপত্তি ছিলো। সেটা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলো চরম। মায়ের সাথে ঝগড়া হতো। সেগুলোর সাক্ষী তো ইমনদের বাসার প্রতিবেশিরা। তিনি কেমন করে নিজের দায় এড়িয়ে বিধবা পুত্রবধুকে কোনো যাচাই বাছাই না করেই খুনী দাবি করলেন?’

সামিরা আরও বলেন, ‘আর তারা একেকবার একেকরকমভাবে খুনের কথা বলছে। মিথ্যে যে সাজানো হয় এবং গুলিয়ে যায় এটা তারই প্রমাণ। একবার বলছে রশি দিয়ে ঝুলানো হয়েছে, একবার বলছে তার দিয়ে ঝুলানো হয়েছে, আরেকবার বলা হচ্ছে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে ইমনকে। ওইদিন দেখলাম ওর ছোট ভাই বলছে জ্বিন চালান দিয়ে ইমনকে মারা হয়েছে। কী হাস্যকর। কেন একেকবার একেকরকম কথা বলছেন তারা? একটা মানুষ কতোবার মরে?’

সামিরা সালমান ভক্তদের জন্য বলেন, ‘সালমানের মৃত্যু নিয়ে আমার জবানবন্দি, নিউজসহ নানা কিছুর তথ্য রয়েছে ফেসবুকে। www.facebook.com এই ঠিকানায় প্রবেশ করে অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। মনগড়া কথায় বিশ্বাস না করে, আবেগকে পাশে রেখে সালমানের মৃত্যুর সত্যতা আমাদের মেনে নিতেই হবে। এটা আমার জন্য বেদনার, যে মানুষটি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন সেই মানুষটির ভক্তরা আমাকেই সবচেয় বেশি ঘৃণা করছেন। তাতে আমার দুঃখ নেই। আমি চাইবো সবাই সালমানের পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন নাম নিয়ে তার জন্য দোয়া করবেন।

এলএ