তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং চীনের যৌথ উদ্যোগে মুন্সিগঞ্জ জেলার বাউশিয়ায় ৪৯২ একর জমির ওপর ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ-এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। চীনের ওরিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির প্রেসিডেন্ট টাংক জিয়াওজির নেতৃত্বে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল এবং বিজিএমই-এর কর্মকর্তাগণ বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে এ রিপোর্ট হস্তান্তর করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং বিজিএমইএ-এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।গত বছর ১০ জুন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় তার উপস্থিতিতে বিজিএমইএ এবং চীনের ওরিয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের বিষয়ে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে গত ১৩ ডিসেম্বর উভয়ের মধ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। বিগত ৫ মাসের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একশত পৃষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। জানা গেছে, এ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি প্রায় ৪৯২ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শিল্পপার্কে তিন থেকে পাঁচশটি তৈরি পোশাক কারখানা থাকবে, এখানে আড়াই লাখ শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পাবেন। এখান থেকে চার বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করা সম্ভব হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এ শিল্প পার্ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।বাংলাদেশে এটি হবে চীনের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। তৈরি পোশাক কারখানার পাশাপাশি পাঁচ তারকা হোটেল, শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের সুবিধা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পার্কিংসহ শিল্প-কারখানার সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে এখানে। বিশ্বের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। প্রথম স্থানে আছে চীন। পোশাক তৈরিতে খরচ বেশি হওয়ার কারণে চীন তৈরি পোশাক উৎপাদনে উৎসাহ হারাচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রথম স্থান দখল করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এআরএমজি শিল্প পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এসএ/বিএ/আরআইপি
Advertisement