দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

পঞ্চগড়ে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। জেগে উঠছে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রেলপথ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ। বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরের পানি এখন নিচে নেমে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকেও নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলা। আকস্মিক বন্যায় ভেসে যায় রেলপথের পাথর, রোপা আমন খেত, রাস্তাঘাট ও পুকুরের মাছ।

সোমবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যা দুর্গতদের জন্য নিকটস্থ স্কুল-কলেজগুলোতে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরতে শুরু করেছে দুর্গতরা। তবে সদর উপজেলার রত্নীবাড়ি ও দেবীগঞ্জ উপজেলার কিছুকিছু এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পানিবন্দিরা অবস্থান করছেন।

আকস্মিক বন্যার কারণে রেল লাইনের উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহের কারণে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও রুটের নয়নিবুরুজ স্টেশন থেকে কিসমত স্টেশন পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেলপথের পাথর সরে যায়। শনিবার সকাল থেকে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে সারা দেশের সঙ্গে পঞ্চগড়ের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৪৫ হাজার ৩০৫টি পরিবার। ১৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় ২৯ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষ।

Advertisement

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। কমে গেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) পঞ্চগড় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ৭.৫ মিলিমিটার। এদিকে জেলার প্রধান নদী করতোয়ার পানি বিপদসীমার ১৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল হক বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর আমন খেত এবং ১৫৩ হেক্টর শাক-সবজির খেত পনিতে তলিয়ে গেছিল। তবে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির কারণে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এক হাজার ৬৯৫ হেক্টর আমন খেত এবং ৮৯ হেক্টর শাক-সবজির খেত পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, জেলায় এখন বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী দুইদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সফিকুল আলম/আরএআর/পিআর

Advertisement