বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশগুলো থেকে প্রতিদিন শত শত নারী গৃহকর্মী কাজের সন্ধানে সৌদিতে আসছেন। তাদের বেশিরভাগই রিয়াদের কিং খালেদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামেন। এয়ারপোর্টে নারী গৃহকর্মী নামার পরই মনিবের লোকদের সঙ্গে কোম্পানির বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
Advertisement
রিয়াদ এয়ারপোর্ট কোম্পানি, যারা এই বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে, সম্প্রতি তারা একটি সেবা চালু করেছে, বিমান থেকে গৃহকর্মীদের যার যার মনিবের বাড়িতে পৌঁছে দেবে, তাদের নিতে মনিবদের বিমানবন্দরে আসতে হবে না।
কোম্পানি তাদের টুইটার পাতায় ছবি পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বিমানের দরজা থেকে একজন নারী গৃহকর্মী ঢুকে যাচ্ছেন গৃহকর্তার বাড়িতে। ঐ বিজ্ঞাপনে তারা লিখেছে, ‘আমরা আপনার গৃহকর্মীকে বিমান থেকে নিয়ে সোজা আপনার বাড়ি পৌঁছে দেব।’
নতুন এ সেবার নাম দিয়েছে তাওয়াসালাক। শব্দটির অর্থ (গৃহকর্মী) নিয়োগদাতা গৃহকর্তাদের অবশ্যই বড় অঙ্কের ফি গুনতে হচ্ছে। টুইটারে অনেক সৌদি নাগরিক এই সার্ভিসের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই লিখছেন গৃহকর্মীদের পণ্য হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে।
Advertisement
একজন লিখেছেন, ‘তাদেরকে কি কার্গো হিসেবে দেখা হচ্ছে?’ আরেকজন লিখেছেন গৃহকর্মীরা যাতে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে না যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। সৌদি আরব প্রতিবছর বিদেশ থেকে হাজার হাজার নারী গৃহকর্মী নিয়োগ করে। এদের অধিকাংশ আসে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে।
সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের অধিকার, থাকার পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। নিয়োগদাতাদের অনুমোদন ছাড়া তারা চাকরি বদলাতে বা কাজ ছেড়ে নিজের দেশে চলে যেতে পারেনা।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement