কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় ভায়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার থেকে তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান নদীর পানি কমলেও বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
Advertisement
সোমবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানি ক্রমাগত কমছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বন্যায় জেলার প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি পরিবারগুলো ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। ফিরতে পারছেন না ঘরে। বানভাসি এসব পরিবারগুলো ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধের রাস্তায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের তীব্র সংকট। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রি এলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
অপরদিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় রেলপথ ভেঙে যাওয়ার কারণে রোববার সকাল থেকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে রেল যোগোযোগ বন্ধ রয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার সঙ্গে গড্ডিমারী ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। গড্ডিমারীর তাবে মোড় এলাকায় একটি পাকা রাস্তা ভেঙে প্রায় ৫শ ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
Advertisement
গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজ জানান, ২শ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩০টি পরিবারের জন্য শুকনো চিড়া পেয়েছি। কাকে দেব আর কাকে দেব না ভেবে পাচ্ছি না।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, বন্যায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক সফিউল আরিফ বলেন, বন্যার্ত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিউল হাসান/এফএ/আইআই
Advertisement