আওয়ামী লীগ ষোড়শ সংশোধনীর রায় পরিবর্তনের জন্য বিচারপতি ও বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগকে বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে এবং চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী রেখে অনেক কথা বলা যায়। ক্ষমতা ছেড়ে নেমে আসুন, দেখুন দেশের জনগণ কাদের পাশে দাঁড়ায়?
মির্জা ফখরুল বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধান বিচারপতি এবং বিচার বিভাগ সম্পর্কে যেভাবে কথা বলছেন তা কোনো রাজনৈতিক বা গণতান্ত্রিক ভাষা নয়। এ ভাষা হচ্ছে সন্ত্রাস ও সহিংস। অবশ্য এই ভাষায় কথা বলা তাদের চরিত্রও বটে।
Advertisement
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি নৈশভোজে অংশ নেয়ায় আমরা (বিএনপি) বিস্মিত। কারণ ইতোমধ্যে এরাই (আওয়ামী লীগ) প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সন্ত্রাস ও সংঘাতের ভাষায় কথা বলেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসাগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। কারণ তিনি কারও সঙ্গে আপস করেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখনই সময় এই ভোটারবিহীন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার, মুখ খোলার।
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
Advertisement
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রাজীব আহসান এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
এমএম/এমএমজেড/পিআর