টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার, মাচালং বাজারসহ সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় পাহাড় ধসে সড়কের ওপর মাটি পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে গেল শুক্রবার রাতে সাজেকে অবস্থানকারী প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
Advertisement
এদিকে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট ও কাচালং এলাকার বন্যাকবলিত ১৫০টি পরিবার স্থানীয় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
সাজেকের নিরিবিলি রিসোর্টের মালিক পূর্ণ চাকমা বলেন, শুক্রবার রাতে আমার রিসোর্টে অবস্থান নেয়া ৬১ জনের শনিবার খাগড়াছড়ি ফিরে যাবার কথা থাকলেও বাঘাইহাট ও মাচালংয়ে সড়কের উপর পানি ওঠায় এবং পাহাড় ধসের কারণে তারা খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেনি।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মৌসুমী জান্নাত বলেন, বৃষ্টির কারণে আমরা সাজেকে আটকা পড়েছি, একদিন থাকার কথা থাকলেও বাধ্য হয়ে এখানে বাড়তি সময় থাকতে হচ্ছে। এতে করে বাসের আগাম কাটা টিকিটের টাকা গচ্ছা দেয়াসহ পরিকল্পনার চেয়েও ব্যয়ও বেড়েছে।
Advertisement
বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারসহ আশপাশের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কের বাঘাইহাট এলাকা এবং সীমানাছড়া ব্রিজ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা নয়ন জানান, মাচালং, কাচালংসহ বাঘাইহাট এলাকার প্রায় ১৫০টি বন্যা কবলিত পরিবার ইউনিয়ন পরিষদ, বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একতা যুবসংঘ ক্লাবে আশ্রয় নিয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজুল ইসলাম পানিবন্দি এলাকা ও সাজেক সড়ক বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পর্যটকদের সমস্যা বিবেচনায় রেখে সার্বিক সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে আটকে পড়া পর্যটকদের জিম্মি করে কেউ যাতে বাড়তি মুনাফা আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে।
মুজিবুর রহমান/এফএ/আইআই
Advertisement