যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার শার্লোটসভিল শহরে চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী এবং বর্ণবাদ বিরোধীদের সহিংসতার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে কনফেডারেম পতাকা, বর্ম আর হেলমেট পড়ে মিছিল বের করে চরম ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা।
গৃহযুদ্ধের সময়কার জেনারেল রবার্ট ই লির একটি ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই মিছিলের আয়োজন করে ডানপন্থীরা। ১৮৬১-৬৫ সালের গৃহযুদ্ধে দাসত্ব প্রথার পক্ষে লড়াইকারী কনফেডারেট বাহিনী পরিচালনা করেন জেনারেল লি।
Advertisement
বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনগুলোও এ সময় আলাদা মিছিল বের করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। শহরে অনেক রাস্তায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, বিরোধী কর্মীদের একটি সমাবেশের উপর চলন্ত গাড়ি তুলে দেয়া হলে একজন নিহত আর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসব সমাবেশের জন্য কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষই একে অপরের উপর বোতল, পাথর ছুড়ে মেরেছে। এমনকি তারা পিপার স্প্রেও ব্যবহার করেছে। এর আগে শুক্রবার রাতেও মশাল মিছিল বের করেছিল শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা।
Advertisement
শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও অনেক স্থানে বিছিন্নভাবে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে সব ধরণের বিদ্বেষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত। আমেরিকায় এ রকম সহিংসতার কোন জায়গা নেই।’
শার্লোটসভিল একটি উদারপন্থী শহর হিসেবেই পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এই শহরের ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। তবে এখানকার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ জেনারেল লির ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর, শহরটি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের লক্ষ্য হয়ে ওঠেছে।
টিটিএন/এমএস