ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরসহ অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ার কারণে ডুবে গেছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের বেশ কিছু অংশ। পানি না সরায় স্থলবন্দর এখন অনেকটাই জলবন্দরে রূপ নিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম।
Advertisement
এদিকে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন খাল দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে থাকে।
তবে এদিন দুপুর থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ার কারণে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহ্পুর, বঙ্গেরচর, কেন্দাই, রহিমপুর, আনন্দপুর, ভুবনবন এবং মোগরা ইউনিয়নের সেনারবাদী, উমেদপুর, বাউতলা, জয়নগর, ছয়ঘড়িয়া, আদমপুর, হাওড়ারচর ও খোলাপাড়াসহ অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
Advertisement
এতে ওসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট সব পানিতে ডুবে গেছে। পাশাপাশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে এখনো পর্যন্ত প্লাবিত এলাকায় প্রশাসনের কোনো ত্রাণ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন আখাউড়া স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত পাহাড়ি ঢলের কারণে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের বেশ কিছু অংশ ডুবে গেছে। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন, বিজিপি চেকপোস্ট ও ইমিগ্রেশন ভবনে হাঁটুপানি জমেছে। এর ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সকাল থেকে বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশনের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাহাদুর জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আবাসস্থলসহ মূল ভবনের ভেতরে পানি ঢুকেছে। পানির কারণে যাত্রীরা ভবনে ঢুকতে পারছে না। এতে যাত্রীরা যেমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তেমনি আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। আপাদত ছোট্ট একটি কক্ষে স্বল্প পরিসরে ম্যানুয়ালি আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল ওয়াহাব বলেন, বন্দরের সড়ক ডুবে যাওয়ায় পণ্য রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে পানি না সরা পর্যন্ত পণ্য রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে না।
Advertisement
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/আরআইপি