গত চারদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও ভারি বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনদিনে এ জেলায় ২৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Advertisement
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে, ঘাঘট নদীর পানি ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে, করতোয়া নদীর পানি ১৩৪ সেন্টিমিটার নিচে ও তিস্তা নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ১০৫ মিলিমিটার, শুক্রবার ৬১ ও শনিবার ৭৫ মিলিমিটার।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসীঘাট ও গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ এলাকায় ঘাঘট নদীতে পানির প্রবল স্রোত লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব অংশের বালুবেষ্টিত ফাঁকা চরাঞ্চলগুলোতে ধীরে ধীরে পানি উঠছে।
Advertisement
বালাসীঘাট এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, গত তিনদিনে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরের নিম্নাঞ্চলে কয়েক সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের ফুলছড়ি পয়েন্টের রেকর্ড কিপার (পানি পরিমাপক) মো. আজিজার রহমান মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৬টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ক্রমেই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, আগামী তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিতে পারে।
রওশন আলম পাপুল/আরএআর/জেআইএম
Advertisement