জাতীয়

কান্না থামছে না মুক্তামণির বাবা-মায়ের

বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণির অস্ত্রোপচার চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের দ্বিতীয় তলার অপরাশেন থিয়েটারে। অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন ও মা আসমা খাতুন।

Advertisement

শনিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে মুক্তামণির অস্ত্রোপচার শুরু হয়। মুক্তার অস্ত্রোপচার শুরুর পর থেকেই অঝোরে কাঁদছেন তার বাবা-মা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন, আত্মীয়-স্বজনরাও ফোন দিচ্ছেন তাদের। তবে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি বাবা-মা’র চোখের পানি।

অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার সময় মুক্তা তার বাবা-মা’কে বলেন, তোমরা আমার জন্য চিন্তা করো না। প্রধানমন্ত্রী আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাকে এখন তাদের ভালো করতেই হবে।

এ সময় মুক্তা দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট মুক্তার ডান হাতের বায়োপসি সম্পন্ন হয়। ৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, মুক্তার হাতের একাধিক অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে। তার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দরকার। একপর্যায়ে তার বাম হাত কেটে ফেলতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে অবশ্য তার চিকিৎসা নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসকরা। হাত কাটার আশঙ্কার কথা জানান। উত্তরে মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন ও মা আসমা খাতুন বলেন, আপনারা মুক্তার জীবন রক্ষায় যা যা প্রয়োজন করুন।

সংবাদ সম্মেলনের পর ইব্রাহীম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তার চিকিৎসা নিয়ে আমরা খুব সন্তুষ্ট। এখানে অনেক বেশি যত্ন নেয়া হচ্ছে যা আগে কোথাও নেয়া হয়নি। ডাক্তারদের উপর আমার ভরসা আছে। জীবন রক্ষার জন্য তারা যা করতে চান এতে আমার কোনো আপত্তি নাই। আমরা শুধু আমাদের মেয়েকে চাই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।

Advertisement

এআর/এআরএস/এমএস