তথ্যপ্রযুক্তি

আত্মহত্যা করার অনলাইন গেম থেকে যেভাবে বাঁচল কিশোর

ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করার পর জানা গেছে সে ‘ব্লু হোয়েল’ নামে একটি অনলাইন গেম খেলছিল। এই অনলাইন গেমে একের পর এক ভয়ংকর কাজ করতে বলা হয়। যার সর্বশেষ পর্যায়ে থাকে আত্মহত্যার নির্দেশ।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের চামেলি দেবি পাবলিক স্কুলের ছাত্র এই কিশোর। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুল শুরুর ঠিক আগে এই কিশোর সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠার সময় এক শিক্ষক তাকে ধরে ফেলেন। তারপর এই কিশোর জানায়, সে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলছিল এবং ছাদ থেকে লাফ দেয়ার চেষ্টা করছিল।

স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ছাত্রটির সঙ্গে কথা বলেছে। তার কাউন্সেলিংও শুরু হয়েছে। তার বন্ধুরা বলছে, সে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমে আসক্ত ছিল।

অনলাইন গেম ব্লু হোয়েলে মোটি ৫০টি ধাপ। যার সর্বশেষ ধাপ মৃত্যু। ধাপগুলোতে আছে হাত পা কাটার মতো বিপজ্জনক কাজ। শুধু কাজ করলেই হয় না। উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে ছবিও তুলতে হয়। তবেই চ্যালেঞ্জ পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে।

Advertisement

এই গেমের শেষ ধাপে বড় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুসরণ করে ছাদের ওপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল এই কিশোর।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মরণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে পানি থেকে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’।

এআরএস/এমএস

Advertisement