শুক্রবার ছুটির সকালে নগরবাসীর ঘুম ভেঙেছে বৃষ্টির শব্দে। বিছানা ছেড়ে ওঠার তাড়া নেই, তাই বাইরে বৃষ্টিস্নাত মেঘ-মেদুর প্রকৃতির দিকে আড়ষ্ট দৃষ্টি রেখে অনেকেই আবার সমর্পিত হয়েছেন ঘুমের কাছেই। রাতে কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও শ্রাবণ ধারার মোক্ষম এ উদযাপনে সকালে চুলায় খিচুরি চড়ানোর প্রেরণা পেয়েছেন নগরের অনেক গৃহিনীই। তবে এ শহরে উদযাপনের চেয়েও বৃষ্টির হাত ধরে বড় সমারোহে আসে ভোগান্তি।
Advertisement
রাজধানী ঢাকায় যাদের ঠাঁই ঘরে, বৃষ্টি হয়তো তাদের মাঝে কিছুটা ভাবের আবেশ এনে দিতে পারে। কিন্তু যিনি প্রয়োজনে পথে নেমেছেন জল-কাদার মুখোমুখী হয়ে প্রতিদিনের মতো? তিনি নগর কর্তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে অর্থহীন প্রশ্ন তুলেছেন -এটা নিশ্চিত বলা যায়।
ঢাকায় কয়েক দিন বলতে গেলে শ্রাবণের বৃষ্টি বিরতি ছিল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট, ২৭ শ্রাবণ) রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের, থেমে থেমেই চলছে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঢাকার ১৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
Advertisement
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সকালে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামী ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের আবহাওয়া অনেকটা এমনই থাকবে। কখনও ভারী বৃষ্টি হবে, আবার একটু কম। এ সময়ে এমনই হয়।’
ভারী বৃষ্টিতে হতে পারে পাহাড় ধসশুক্রবার সকালে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত (গত ২৪ ঘণ্টায়) প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ১৭১ মিলিমিটার।
Advertisement
আরএমএম/আরএস/এমএস