এখন অামাদের মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ফেসবুক, ই-মেইল, টুইটার সবগুলোতে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলেও ফেসবুক, টুইটার কিংবা ই-মেইল অ্যাকাউন্টে তা ব্যবহার করতেই হয়।
Advertisement
কিন্তু আমাদের একটা স্বভাবের কারণে নিজেরাই বিপদ ডেকে নিয়ে আসি। নিজের মোবাইল নম্বর, নাম এমনকি পরিচিতজনের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি। অনেকেই মনে করেন শুধু স্পেশাল ক্যারেক্টার ও ডিজিটের ব্যবহার, কিংবা বড় পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলেই বিপদ এড়ানো যাবে।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাসওয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে এই কয়েকটি সাধারণ ভুল বিপদ ডেকে নিয়ে আসে। তার পরেও কমবেশি সকলেই এই ভুল করে থাকেন।
সাইবার অপরাধীদের মধ্যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সামান্য সুযোগ পেলেই তারা অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।
Advertisement
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে ফেসবুক গ্রাহকদেরই। এই সতর্কতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হল, এমন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করা, যার নাগাল হ্যাকাররা চট করে পাবে না।
সে ক্ষেত্রে শুধু স্পেশাল ক্যারেকটার ও ডিজিটের ব্যবহার, কিংবা বড় পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলেই বিপদ এড়ানো যাবে, তা নয়। এক্ষেত্রে পাঁচটি কাজ করলে হ্যাকাররা আর আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না।
প্রথমত, পর পর সংখ্যা ব্যবহার অর্থাৎ ১,২,৩,৪,৫ কিংবা ০,৯,৮,৭,৬ দিয়ে কোনও পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন না। পাসওয়ার্ডের কোনো অংশেও এরকম সংখ্যা রাখবেন না।
দ্বিতীয়ত, নিজের নাম বা পদবীর ব্যবহার পরিহার করুন। কারণ, হ্যাকাররা আপনার নাম পদবী দিয়েই সহজে হ্যাক করার চেষ্টা করবে।
Advertisement
ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল নম্বর ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আপনার সঙ্গে জড়িত যে সমস্ত নম্বর, যেমন আপনার জন্মদিন কিংবা ফোন নম্বর পাসওয়ার্ডে রাখবেন না।
আপনার বান্ধবী, স্ত্রী, ভাই-বোন, মা-বাবার নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন না। এমনকি বাড়ির রাস্তার নাম, পাড়ার নামও এড়িয়ে চলুন।
এক্ষেত্রে অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার করুন। এমন শব্দ বা সংখ্যা যা কেউ কোটি বারের চেষ্টায়ও সফল হবে না। চেষ্টা করবেন, যেনো ১৪টি ডিজিট পাসওয়ার্ডে থাকে।
কেএ/আরআইপি