খেলাধুলা

ক্রিকেট পাগল বাঙালি

মাথার ওপর প্রখর রোদ ছড়াচ্ছে সূর্য। প্রচণ্ড গরম। মোবাইল বের করে দেখলাম তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বিসিবির একাডেমি মাঠে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) টিমের খেলা। খুব যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ম্যাচ তা নয়। কারণ ম্যাচটি দু’দলের অনুশীলনের ম্যাচ। তাদের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ম্যাচ রয়েছে; তবে তা এখানে না বিকেএসপিতে।

Advertisement

তাহলে হয়তো পাঠকদের মাথায় আসতে পারে এই নিউজে এই শিরোনামই বা কেন? আর এই ম্যাচের কথাই বা কেন? আমি মেলবন্ধনটা করে দিচ্ছি। এমন সাধারণ একটা ম্যাচ। অথচ বিসিবি একাডেমি গেটে মানুষের ধাক্কাধাক্কি। তারা দেখছেন এমন ম্যাচ, যেখানে নেই জাতীয় দলের কোনো তারকা ক্রিকেটার। কতটা ক্রিকেট পাগল হলে এটা সম্ভব!

জটলা থেকে একজন স্কুল ছাত্রী ডাক দিয়ে হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, ‘ভাই, কাদের খেলা হচ্ছে?’ জানালাম, খেলাটা কাদের হচ্ছে। এক গাল হেসে ওই ছাত্রী বলল, ‘তার মানে এরা ভবিষ্যৎ জাতীয় দল।’

জটলার ভেতরই কথা হলো সোহানের সাথে। সোহান জাগো নিউজকে জানাল, সে মিরপুরে এসেছে এক আত্মীয়ের বাসায়। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। স্টেডিয়ামে এসেছে মাশরাফিকে দেখতে। এখন মাশরাফির দেখা না পেয়ে এই খেলা দেখছে।

Advertisement

শুধু যে খেলা দেখছিল তা-ই না, এই অল্প সংখ্যক দর্শক খেলোয়াড়দের চার-ছয় কিংবা উইকেট প্রাপ্তিতেও আনন্দ করছিল। আর দল দুটিও যেন দর্শকদের মন রক্ষার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল। কারণ এইচপির ম্যাচটি জিততে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অনিকের ক্যাচ মিসে এক উইকেটে জয় পেয়েছে এইচপি।

আমরা জাতিগতভাবে ক্রিকেট পাগল। এমন একটা ছোট ম্যাচের জন্য পাগলামিতেই তা প্রমাণ করে দেয়। এসব পাগলামির জন্যই হয়তো টাইগাররা আজ এতদূর এসেছেন। বাংলাদেশ দল হয়তো একদিন বিশ্বকাপও জয় করবে এই পাগলদের জন্যই।

এমএএন/এনইউ/জেআইএম

Advertisement